স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানাধীন তেরখাদিয়া পশ্চিম পাড়ায় টিকটকার পরিবারের হাতে মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর জখম হয়ে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী রাবিয়া খাতুন নামের এক বৃদ্ধ অসহায় নারী।
এজাহারে ভুক্তভোগী বিজয়, বিজয়ের মা টিকটকার ঝর্ণা খতুন, বিজয়ের পিতা সাঈদ, রাব্বি, জয়, আরাফাত, রিফাত ও সামসসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
লিখিত এজাহারে ভুক্তভোগী রাবিয়া খাতুন উল্লেখ করেন হামলাকারীরা তাদের পূর্ব পরিচিত এবং এবং দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের সাথে বিরোধ বিদ্যমান। তারই জেরে গত ৬ মে বিকাল আনুমানিক ৪ টায় ঝর্না খাতুন ও সাঈদের নির্দেশে এবং তাদের নেতৃত্বে তার ছেলে বিজয়সহ তার সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার বাসায় হামলা করে মোবারক, সীমা,আতিক, আনোয়ারা, সালমা ও মামুনকে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। হামলার সময় ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশের সাহায্যে উদ্ধার হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এরই মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিজয়কে সজিব মারধর করে সেই মারামারির ঘটনায় আমার পরিবারের কয়েকজনের নাম জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলার ৩ ও ৮ নং আসামি মোবারক ও আতিককে রবিবার বিকাল ৪ টায় র্যাব আটক করে। অথচ মারামারি সুত্রপাত করে ঝর্না তার স্বামী ও ছেলে বিজয়।
উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারক ও আতিকের মা ও মামলার বাদী রাবিয়া খাতুন বলেন ঝর্না খুব খারাপ মেয়ে এর আগেও সে আমাদের সাথে ঝামেলা করেছে। প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্যকে মারধর করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সে তার স্বামীকে ২/৩ বার তালাক দিয়ে আবারও বিয়ে করেছে। একবার অন্য এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে সেই ছেলের সাথে পালিয়ে গেছিলো।” তার ছেলে বিজয় একজন মাদকাসক্ত, তার বন্ধুরা বিভিন্ন সময় নানান অপরাধ মুলক কাজের সাথে জড়িত থাকে, আমরা তার ভয়ে অতিষ্ঠ হয়ে থাকি।
বিজয়সহ তার বন্ধুদের অবৈধ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিজের আত্নীয় স্বজনদের ওপর হামলা করে জখম করার ঘটনায় প্রতিবেশীরা অনেকেই ভীতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবেশীরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
মামলার বিষয় নিয়ে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশরাফুল আলম বলেন “রাবিয়া খাতুন একটি মামলা দায়ের করেছে আমরা আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
উল্লেখ আসামিরা হলেন বাদি রাবিয়া খাতুনের ছোট ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি।