‘আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ স্লোগানে ৪ ঘণ্টা ধরে অবরোধ শাহবাগ, বন্ধ যান চলাচল

অনলাইন ডেস্ক : জুলাইয়ের গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে উত্তাল শাহবাগ। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’- স্লোগানে উত্তাল রাজধানীর শাহবাগ।আন্দোলনকারীদের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত পুরো এলাকা। এর ফলে চার ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেলের দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে সমাবেশ থেকে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। বিকাল সাড়ে ৪টার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতাসহ হাজারো জনতা স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন।

আরও পড়ুনঃ   বিজিএমইএ’র নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ

সরেজমিনে শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তারা ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’ ‘নাহিদ, আক্তার আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও ঘুরিয়ে দাও’, ‘২৪ বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, প্রভৃতি বলে স্লোগান দিচ্ছেন।

অবরোধস্থলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফিসহ এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ   রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময় ধরে চলবে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি।

এদিকে বিকেল থেকেই শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে চলছে যানবাহন। ফলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। রাতভর আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচির পর শুক্রবার বিকেলে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।-ইত্তেফাক