বড় ভাইকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা : ছোট ভাইকে পুলিশে সোপর্দ

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সদর উপজেলায় আব্দুল ওহাব মণ্ডল (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীকে মারধর করতে নিষেধ করায় ছোট ভাই আরব আলী মণ্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে হত্যা করেন। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল ওহাব মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচর গ্রামে হাতুড়িপেটার ঘটনা ঘটে।

আব্দুল ওহাব মণ্ডল ও আরব মণ্ডল শুকচর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মণ্ডলের ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৫ দিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন।

আরও পড়ুনঃ   শেখ হাসিনা দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করেছিলেন: মামুনুল হক

নিহত ব্যক্তির স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে আরব আলী মণ্ডল তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ও বেধড়ক মারধর করছিলেন। এ সময় বড় ভাই আব্দুল ওহাব নিষেধ করেন। তিনি ছোট ভাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, স্ত্রীকে মারধর করার দরকার নেই। শ্বশুরবাড়িতে খবর দিয়ে নিয়ে যেতে বলো। স্ত্রী যদি মারা যায়, তাহলে বিপদ হবে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরব আলী তাঁর বড় ভাইকেও মারধর শুরু করেন। ওহাব দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে গিয়ে তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। ঘটনার পর এলাকাবাসী আরব আলীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

আরও পড়ুনঃ   বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৪ জনের

আব্দুল ওহাবের শ্যালক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার আমার দোলাভাইকে হত্যার উদ্দেশে মারধর করেন তাঁর ছোট ভাই। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।’

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আব্দুল ওহাবের লাশ উদ্ধার করেছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মামলা হলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।