আকস্মিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনের সঙ্গে আকস্মিকভাবে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবসের স্মরণে আগামী ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে বলে সোমবার জানিয়েছে ক্রেমলিন।

মস্কো বলেছে, কিয়েভও একই ধরনের আদেশ জারি করবে বলে প্রত্যাশা করছে রাশিয়া। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইউক্রেন যদি কোনও ধরনের হামলা চালায় তাহলে রাশিয়া পাল্টা হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকবে

এর আগে, খিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে প্রায় একইভাবে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও সেই সময় উভয়পক্ষ শত শত বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালানোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। তবে যুদ্ধবিরতির কারণে উভয়পক্ষের সংঘাত কিছুটা কমেছিল।

আরও পড়ুনঃ   সুদানে হাসপাতালে ভয়াবহ ড্রোন হামলা, নিহত ৬৭

ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘রুশ পক্ষ বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকীতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে। আগামী ৭-৮ মে থেকে ১০-১১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধের সব ধরনের অভিযান স্থগিত থাকবে।’’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া বিশ্বাস করে—ইউক্রেনীয় পক্ষ একই ধরনের পদক্ষেপ অনুসরণ করবে। ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী যথাযথ ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানাবে।

গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পূর্ণ এবং শর্তহীন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা এক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল ইউক্রেন।

আরও পড়ুনঃ   বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত

পরবর্তীতে গত এপ্রিলে ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে মাত্র ৩০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। তার এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় সমর্থকরা জনসংযোগের কৌশল বলে অভিযোগ করে। একই সঙ্গে তারা জানায়, শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনও ইচ্ছা নেই পুতিনের।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের বৃহৎ অংশের দখল নিয়েছে রাশিয়া। এর আগে, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ সামরিক বাহিনী।