রাজশাহীতে আলহাজ্ব সুজাউদ্দৌলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার : গত দুইদিন পূর্বে আলহাজ্ব সুজাউদ্দৌলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিগত এডহক কমিটিকে বাতিল করে নতুন এডহক কমিটি গঠন করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গত দুইদিন ধরে চলছে উত্তেজনা। অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আকতারুজ্জামান বাবলুর মেয়ে ফৌজিয়া আবিদা জেসি ও আরেক মেয়ে ফৌজিয়া আকতার বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিয়ামানুযায়ী নতুন করে এডহক কমিটি গঠনের লক্ষে তারা পুণরায় রাজশাহী স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক(যুগ্ম সচিব) পারভেজ রায়হানকে সভাপতি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এর সাবেক মহাব্যবস্থাপক আব্দুল লতিফ বিদ্যোৎসাহী সদস্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ফৌজিয়া আবিদা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (সভাপতি কর্তৃক মনোনীত) আলহাজ্ব সুজাউদ্দৌলা ডিগ্রি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক এ.কে.এম মেহেদী হাসান শিক্ষক প্রতিনিধি (শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত) ও আলহাজ্ব সুজাউদ্দৌলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনকে সদস্য সচিব করে কমিটি জমা দেন।

এই কমিটির তালিকা অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অনলাইনে পাঠানোর কথা বলেন। সেইসাথে মুলকপি নিয়ে কলেজ পরিদর্শক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরে পাঠানো কিংবা স্বশরীরে গিয়ে পাশ করিয়ে নিয়ে আসার কথা বলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ তাদের দেয়া কমিটি শুধুমাত্র অনলাইনে প্রেরণ করেছেন। আর এখন যে কমিটি জাতীয় বিশ্বাবিদ্যালয় কর্তৃক প্রদান করা হয়েছে সেই কমিটির মুলকপি অধ্যক্ষ নিজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে পাশ করিয়ে নিয়ে আসেন বলে জানান তারা।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৬

তারা আরো বলেন, এই অধ্যক্ষ ও তার ফুফু মিলে পূর্বের আওয়ামীলীগের দোসর অত্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মানজালকে পুনর্বহাল ও নিয়োগ এবং বিভিন্ন খাত হতে টাকা তছরুপ করার জন্যই এই কাজ করেছেন। কিন্তু এটা তারা হতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তারা বলেন, বিগত আওয়ামীলীগের আমলে সাবেক অধ্যক্ষগংরা মিলে কোটি কোটি টাকা আত্মস্বাত করেছে। তারা কলেজের কোন উন্নয়ন করেন নি। কলেজে বসার টুলের অনেক সংকট ছিলো। ছিলোনা লেকচার ডায়াস। এছাড়াও বিদ্যুতের তারের অবস্থা ছিলো অত্যন্ত লাজুক। খুলে খুলে পরে যাচ্ছিলো। মূলত তারা সকল অর্থ লোপাট করেছে।

তারা আরো বলেন, বিগত ছয়মাসে কলেজে নতুনভাবে বসার টুল, লেকচার ডায়াস ও নুতনভাবে বৈদ্যুতিক ওয়ারিং করিয়েছেন। সেইসাথে বাউন্ডারী ওয়াল দেয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার অনুদান নিয়ে এসেছেন। যা বিগত সময়ে হয়নি। তারা বলেন, বিগত আওয়ামীলীগের সময়ের কমিটির আমলে শিক্ষক নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিটি ও অধ্যক্ষ নিয়েছেন। কিন্তু তাদের কমিটির সময়ের দুইজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের নিকট হতে কোন প্রকার অর্থ গ্রহন করা হয়নি বলে জানান তারা। ঐ অবস্থা দেখে বর্তমান অধ্যক্ষ ও তার দোসরা অসন্তষ্ট হয়ে আগামীতে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আয় করার জন্যই এই প্রহসনের কমিটি নিয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করে এই কমিটির বাতিল করে তাদের দেয়া কমিটি পূনর্বহাল করার দাবী জানান। না হলে আগামীতে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে পুলিশের অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার: গ্রেপ্তার ২

এ বিষয়ে অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে পারভেজ রায়হান কমিটির মূলকমিট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাননি বলে স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, যে কমিটি পাশ হয়ে এসেছে তাতের কলেজ থেকে পাঠানো অনেকের নাম বাদ দিয়েছে। তবে ফৌজিয়া আবিদাকে বাদ দেয়া হয়নি। নতুন কমিটি নিয়ে একটি সভা করে নতুনভাবে তিনিসহ আরো দুইজনকে অন্তর্ভূক্তি করা হবে। সেখানে ফৌজিয়া আবিদা থাকবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে কমিটি দেয়া বা বাতিল করার ক্ষমতা তার নাই বলে উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন।