অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর পুরান ঢাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ, আওয়ামী লীগের দলগতভাবে বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে ধোলাইপাড় মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে পোস্তগোলা, জুরাইন হয়ে বিক্রমপুর মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন শিশির, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস এম শাহরিয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদ বিন রনি, রাকিব হোসেন, খান মুহাম্মদ মোরসালীনসহ শ্যামপুর ও কদমতলী থানা শাখার নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের জীবন আজ বিপর্যস্ত। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আগে যেভাবে চাঁদাবাজি করেছিল, বর্তমানেও একইভাবে চাঁদাবাজি চলছে। তা অবিলম্বে সরকারকে বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, একটি দলের চাঁদাবাজির কারণে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করেছে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস তাদের অস্তিত্বের অংশ হয়ে গেছে, অবিলম্বে এ চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করতে পারে তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। যে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে সক্ষম, আমরা সেই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চাই, অক্ষমদের চাই না।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে দেশের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার হবে।
যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস এম শাহরিয়ার বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে প্রতিদিন চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। একটি দল পুরোপুরি ক্ষমতায় না এসেও জনগণের সম্পদ চাঁদাবাজি করছে, লুটপাট করছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
কেন্দ্রীয় নেতা আসাদ বিন রনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করলে এ সরকারের বিরুদ্ধেও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।
এ সময় শ্যামপুর-কদমতালী থানার নেতা হাসানুল ইসলাম রায়হান, সাদিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম খোরশেদ আলম, ইসমাইল হোসেন, মোহাম্মদ রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।