নগরীতে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলেম-ওলামার বৈঠক, বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে রাজশাহীর বিশিষ্ট আলেম ওলামাগণের সঙ্গে বৈঠক করেন আরএমপির পুলিশ কমিশনার।

আজ ২৪ এপ্রিল বিকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আরএমপির পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।

গত ২২ এপ্রিল রাজপাড়া থানার বুলনপুর নবাবগঞ্জ ঘোষপাড়ার জান্নাতুল মাকাম জামে মসজিদে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত সাগর সাহা (৩০) কে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ২৩ এপ্রিল রাজশাহী কোর্ট চত্বরে স্থানীয় মুসল্লিরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন এবং ২৫ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুম্মা আরও বৃহৎ কর্মসূচির ঘোষণা দেন রাজশাহীর বিশিষ্ট আলেম-ওলামাগণ।

আরও পড়ুনঃ   সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ সহ্য করা হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বিষয়টি ঘিরে জনমনে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় আজ আরএমপি সদর দপ্তরে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন আলেম সমাজের নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে পুলিশ কমিশনার বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিচার আদালতের মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। কেউ এই সুযোগে গুজব ছড়াতে বা নাশকতার চেষ্টা করতে পারে, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। এর আগেও আমরা দেখেছি ফিলিস্তিন ইস্যুতে দুষ্কৃতিকারীরা দেশে একটি অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ জন্য তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুনঃ   বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন

বৈঠকে আলেম-ওলামারা পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যে আশ্বস্ত হন এবং পূর্বঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে আগামীকাল বাদ জুম্মা সকল মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ সিদ্ধান্ত দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বিত ভূমিকার একটি ইতিবাচক উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে সবাই প্রত্যাশা করেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) নাজমুল হাসান, পিপিএমসহ আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ইসলামি আন্দোলন, আলেম ওলামা বিভাগ, হেজবুত তাওহীদ, ওলামা বিভাগ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, হাফেজ উম্মা ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও ইমামগণ।