সিরিয়ায় আইনের মূল ভিত্তি থাকবে ইসলামিক আইনশাস্ত্র

অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ায় ইসলামিক আইনশাস্ত্রকে আইনের প্রধান ভিত্তি হিসেবে রাখা হবে। এছাড়া সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতাও অক্ষুন্ন রাখা হবে। দেশটির নতুন সংবিধানের একটি খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ইসলামিক আইনশাস্ত্রকে আইনের মূল ভিত্তি হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে। এই খসড়া সংবিধানে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে নতুন সংবিধানের ৪৪টি আর্টিকেল পড়ে শোনান একজন আইন বিশেষজ্ঞ। তাকে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাই নিয়োগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ   অপহরণের দেড় বছর পর নিউজিল্যান্ডের পাইলটকে ফেরত দিল পাপুয়ার আদিবাসীরা

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইসলামপন্থি হায়াত তাহরির আল-শাম। এই দলটির প্রধান নেতা হলেন আহমেদ আল শারা। তিনি ক্ষমতা নিয়ে প্রথমে আসাদ আমলের সংবিধান বাতিল করেন। এছাড়া যেসব সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে সিরিয়াকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তার নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে সেটি আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে। এরপর সেখানে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

আরও পড়ুনঃ   মানব পাচার চক্র ভাঙল ইন্দোনেশিয়া, বিস্তৃত ছিল বাংলাদেশেও

বাসার আল-আসাদ নিজ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালানোয় সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল পশ্চিমা দেশগুলো। এছাড়া বেশিরভাগ দেশ সিরিয়া থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পর পশ্চিমা দেশগুলো ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে এবং রাষ্ট্রদূততে আবারও সিরিয়ায় পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এরমধ্যে সর্বশেষ পশ্চিমা দেশ হিসেবে কানাডা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পুনরায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ঘোষণা দিয়ছে।