সিরিয়ায় সংঘর্ষে আসাদপন্থি গোষ্ঠীর ৩৪০ সদস্য নিহত

অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদপন্থি আলাউইত সম্প্রদায়ের ৩৪০ জনের বেশি বেসামরিক সদস্য নিহত হয়েছেন। দেশটিতে গত কয়েক দিনের সংঘর্ষে আলাউইত সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে শনিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।

ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির-আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আন্দোলনের মুখে গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকে জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুসারী আলাউইত সম্প্রদায়ের সদস্যদের তীব্র হামলার মুখোমুখি হচ্ছে। এর জেরে জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে সিরীয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দেশটির পশ্চিম উপকূলীয় আলউইত সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় ভয়াবহ সংঘর্ষের পর ওই অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

আরও পড়ুনঃ   ভারতে প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষণ, দাঁড়িয়ে দেখল অনেকেই, করল ভিডিও

শনিবার সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সিরিয়ার সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী ও তাদের মিত্ররা পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল ও লাতাকিয়ার পার্বত্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলাউইত সম্প্রদায়ের ৩৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।

অবজারভেটরি বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারপন্থি যোদ্ধারা আলাউইত সম্প্রদায়ের সদস্যদের ‘‘মৃত্যুদণ্ড কার্যকর’’ করার মতো করে হত্যা করেছে। এছাড়াও তাদের বাড়িঘর ও সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   গোলাবারুদসহ মূল সামরিক সরবরাহ দ্রুত ইউক্রেনে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেসামরিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রাণহানির মোট সংখ্যা ৫৫৩ জনে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে নতুন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৯২ সদস্য ও বাশার আল-আসাদ সমর্থিত ১২০ জন যোদ্ধাও রয়েছেন।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আলাউইত অধ্যুষিত গ্রাম থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করার পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

তবে শনিবার ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান অব্যাহত আছে এবং কিছু কিছু এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।