রাষ্ট্র সংস্কার ও সমাজ পরিবর্তনে ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের অগ্রগামী হতে হবে: অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে ৭ মার্চ জুমাবার নগরীর একটি মিলনায়তনে ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমীর এডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী। আরও বক্তব্য প্রদান করেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শাহ হোসাইন আহমদ মেহেদী, মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে দারস পেশ করেন প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসাইন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার, আশরাফুল আলম ইমন, তৌহিদুর রহমান সুইট, হাফেজ নুরুজ্জামান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২৭ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ড দায়িত্বশীল ভাইয়েরা ইসলামী আন্দোলনের মাঠপর্যায়ের নেতৃত্ব, তাদেরকে নিজ ময়দানে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখে। বিগত পনেরো বছরে বাতিল শক্তি আমাদের উপর চরম জুলুম নির্যাতন করলেও এই ময়দানে ইকামাতে দ্বীনের কাজ বন্ধ করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী এদেশে গণমানুষের প্রাণের সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। মানুষ এখন দলে দলে জামায়াতের সহযোগী হয়ে উঠছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশ রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানুষ এখন সৎ লোক খুঁজে বেড়াচ্ছে মানুষ, আর সেই সৎ লোক জামায়াতের মধ্যে আছে এ কথাও জনগণ বুঝে গেছে। ফলে রাষ্ট্র সংস্কার ও সমাজ পরিবর্তনে এবং জনগণের অধিকার আদায়ে জামায়াতের ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের অগ্রগামী হতে হবে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেন, আমরা যারা ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করি তারা ইকামাতে দ্বীনের দাওয়াত সরাসরি জনগণের সামনে উপস্থাপন করি। পেশাজীবিগণ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে দাওয়াতী কাজ করে থাকে। আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহে আমরা এই আন্দোলনের দাওয়াত পেয়েছি। এই জিম্মাদারির হক আদায় করতে হবে। আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী এটা নবীওয়ালা কাজ। আমাদের প্রত্যেকটি প্রশাসনিক ওয়ার্ডের ইউনিট গুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ   আরএমপি ডিবি’র অভিযানে ৩ জুয়াড়ি আটক

তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্বশীলদের জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হবে। বিনয় ও আন্তরিকতার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি যেতে হবে। তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের শুধু জামায়াতের নেতা নই, আমাদের নিজ ময়দানে সকল শ্রেনি-পেশার মানুষের নেতায় পরিণত হতে হবে। সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে ভূমিকা রাখতে হবে। ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে।