পশ্চিম তীরের মসজিদে মসজিদে ভাঙচুর, আগুন ইসরায়েলি সেনাদের

অনলাইন ডেস্ক : পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের বেশ কয়েকটি মসজিদে ভাঙচুরের পাশাপাশি ঐতিহাসিক আল-নাসর মসজিদে অগ্নিসংযোগ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।

ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই নাবলুস শহরের মসজিদগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। অভিযানে বেশ কয়েকটি মসজিদ ভাঙচুর করে তারা, সেই সঙ্গে আল-নাসর মসজিদে ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করে।

আল-নাসর পশ্চিম তীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি। একসময় এটি গির্জা ছিল। ইসলামের আগমনের আগে প্রাচীন রোমান শাসকদের আমলে তৈরি হয়েছিল গির্জাটি। পরে ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সেটিকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়।

আরও পড়ুনঃ   ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে ‘বোমা হামলা’: নিরাপত্তা সূত্র

আগুনে পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি আল-নাসর মসজিদ, তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন দেওয়ার আগে মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর এবং ইমামের বাসভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফাতাহ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, “কোনো পূর্ব সতর্কবার্তা কিংবা নোটিশ ছাড়াই আজ শুক্রবার ভোরে নাবলুসের বাব আল সাহা এলাকায় অবস্থিত আল নাসর মসজিদে আগুন দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পাশাপাশি নাবলুসের বেশ কয়েকটি মসজিদে ভাঙচুরও চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।”

আরও পড়ুনঃ   ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

“আগুন নেভাতে নাবালুসের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসেছিলেন, কিন্তু তাদেরকে বাব আল সাহায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।”

নাবলুসের ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষন দপ্তরের পরিচালক নাসের আল সালমান এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম আল-নাসরসহ অন্যান্য মসজিদগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এই অভিযানের মাধ্যমে তারা আরও একবার প্রমাণ করল যে ইহুদি ব্যতীত অন্যান্য ধর্মের লোকজন ও ধর্মীয় উপসনালয়ের প্রতি তাদের বিন্দু পরিমাণ সম্মানবোধ নেই।”