রোজা অবস্থায় পিরিয়ড শুরু হলে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক : পিরিয়ড নারীদের শরীরবৃত্তীয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু বেশিরভাগ নারীই এ বিষয়টি নিয়ে লোক চক্ষুর সামনে হীনম্মন্যতায় ভোগে। এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে রমজান মাসে।

পবিত্র এ মাসে সকল মুসলিম নারীই রোজা রাখেন। কিন্তু হঠাৎ পিরিয়ডের তারিখ কাছাকাছি চলে এলে কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না।

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোজা আছেন কিন্তু রোজার মাঝপথে তার পিরিয়ড হয়েছে। এই সময় করণীয় কী সে বিষয়ে ইসলামে বেশ কিছু বিধান রয়েছে।

যেমন কোনো নারী রোজা থাকা অবস্থায় পিরিয়ড হলে তার রোজা ভেঙে যাবে এবং পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে রোজা রাখা ও নামাজ আদায় করতে পারবেন না। (সূরা বাকারা : ২২২)

আরও পড়ুনঃ   তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি শক্তিশালী করার আহবানে প্রজন্ম মানবিক অধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের বিবৃতি

তবে ওই অবস্থায় একজন মুসলিম নারী হিসেবে রোজার সম্মানার্থে ইফতার পর্যন্ত পানাহার থেকে তার বিরত থাকা উচিত। পরে এ রোজা কাজা আদায় করে নিতে হবে তাকে।

পিরিয়ডের দিন থেকে শুরু করে পিরিয়িড শেষ পর্যন্ত রমজানের সম্মানার্থে অন্যদের সামনে পানাহার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে তাকে। এটা তাকওয়ার পরিচায়ক। (সুরা হজ : ৩২)।

ইসলাম ধর্মবিদরা মনে করেন, দিনের বেলায় পিরিয়ড শেষ হলে অবশিষ্ট সময় থেকে ইফতার পর্যন্ত খাবার ও পানি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবার ও পানি গ্রহণের এ বিরতি রোজা হিসেবে নয়, বরং তা রোজার সম্মানার্থে করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ   ৫ ঘণ্টায় উদ্ধার হয়নি একটি বগিও, রেল যোগাযোগ বন্ধ

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীরা রোজা না রাখতে পারলেও ইফতার তৈরি, দোয়া দরূদ পড়া, তাসবিহ-তাহলিল—সবই স্বাভাবিকভাবে করবেন। এসময় সেহরি-ইফতারেও শরিক হওয়া যাবে। তবে অবশ্যই নারীদের এসময় নিজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

উল্লেখ্য, নিফাস তথা সন্তান প্রসবকারী নারীর বিধান পূর্বোক্ত হায়েজ বা পিরিয়ড চলাকালীন নারীর বিধানের মতোই। তিনিও পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত রোজা রাখতে পারবেন না।-ইত্তেফাক