ইউক্রেনে ন্যাটো সেনাদের মেনে নেবে না রাশিয়া : ল্যাভরভ

অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সেনাদের উপস্থিতি রাশিয়া মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর একথা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কোনও শান্তি চুক্তির অধীনেই ইউক্রেনে ন্যাটো দেশগুলোর শান্তিরক্ষা বাহিনী রাশিয়া গ্রহণ করবে না বলে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

তিনি বলেন, “অন্য কোনও পতাকার নিচে সশস্ত্র বাহিনীর কোনও উপস্থিতি কিছুই পরিবর্তন করে না। এটা অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।”

ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একে অপরের দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে এবং “সম্পূর্ণ সহযোগিতা পুনরায়” শুরু করার মতো পরিবেশ তৈরি করবে। তার ভাষায়, “এটি খুব জরুরি আলোচনা ছিল। আমরা একে অপরের কথা শুনেছি।”

আরও পড়ুনঃ   পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

তিনি রাশিয়ার আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটের যে কোনও সম্প্রসারণ এবং ইউক্রেনের এতে যোগদান রাশিয়ার জন্য “সরাসরি হুমকি” হবে।

রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য দল নিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে। বৈঠকের পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “দীর্ঘ এবং কঠিন যাত্রার প্রথম ধাপ ছিল আজ, একইসঙ্গে এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।”

ইউক্রেনকে এই আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং এই বিষয়টিকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘আশ্চর্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়ায় “হতাশ”।

মার-এ-লাগোতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জিজ্ঞাসা করা হয়, ইউক্রেনীয়দের জন্য তার বার্তা কী? যারা (বৈঠকে না ডাকায়) বিশ্বাসঘাতকতা বোধ করতে পারে। জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি তারা (আলোচনার টেবিলে) আসন না পেয়ে বিরক্ত। ভালো, তারা তিন বছর এবং তারও আগে দীর্ঘ সময় ধরে এই ধরনের আসন পেয়ে আসছিল। এটি তখন খুব সহজেই নিষ্পত্তি করা যেত।”

আরও পড়ুনঃ   পাকিস্তান সীমান্তে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে ইরান

তিনি আরও বলেন, “আপনার কখনোই এটা শুরু করা উচিত ছিল না। আপনি একটি চুক্তি করতে পারতেন।”

সৌদি আরবে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, তিনি “অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী”। তার মতে, “তারা খুব ভালো ছিল। রাশিয়া কিছু করতে চায়। তারা নৃশংস বর্বরতা বন্ধ করতে চায়। আমি মনে করি এই যুদ্ধ শেষ করার ক্ষমতা আমার আছে।”