বাভুমাদের সঙ্গে তর্কে জড়ানো নিয়ে যা বললেন আফ্রিদি

অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে একের পর এক মেজাজ হারাতে দেখা গেছে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। কেবল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের উত্তপ্ত (স্লেজিং) করেই ক্ষান্ত হননি, কেউ কেউ তাদের দিকে তেড়েও গিয়েছেন।

আইসিসি থেকে এসব ঘটনায় শাস্তিও পেয়েছেন ৩ পাকিস্তানি ক্রিকেটার। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ লঙ্ঘন করেছেন শাহিন আফ্রিদি, সৌদ শাকিল ও কামরান গুলাম।

করাচিতে গত বুধবার ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের ২৮তম ওভারে সফরকারী ব্যাটার ম্যাথু ব্রিটজকের রান নেওয়ার পথে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ান শাহিন আফ্রিদি। এরপর দুজনের মুখোমুখি শারিরীক অবস্থান ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়েরও সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুনঃ   শ্রীলঙ্কাকে ৮ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ নবম

শাহিন আফ্রিদির জরিমানা হয়েছে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ। তিনি আচরণবিধির ২.১২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে কোনো খেলোয়াড়, সহযোগী কোনো ব্যক্তি, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি কিংবা অন্য কারও (দর্শক) সঙ্গে অযাচিত শারিরীক অগ্রহণযোগ্য।’

এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেছেন, ‘প্রথমবার ম্যাথু কোনো কথা বলেনি। আমি উইকেট পেতে কিছুটা স্লেজিং করছিলাম। তবে মাঠে যা হয়েছে সেটা ওখানেই ফেলে এসেছি। পরে ম্যাথুর সঙ্গে দেখা হয়, হাত মেলাই। আমরা আবার বন্ধু হয়ে গেছি।’

আরও পড়ুনঃ   আইপিএলের সূচি পরিবর্তন

আরেকটি ঘটনায় সৌদ শাকিল এবং বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামা কামরান ‍গুলামকে ম্যাচ ফি’র ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। ২৯তম ওভারে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা রানআউট হওয়ার পর দুজনেই তার খুব কাছাকাছি গিয়ে আগ্রাসী উদযাপনে মাতেন।

ফলে শাকিল-কামরান উভয়ই আচরণবিধির ২.৫ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেছেন বলে উল্লেখ করেছে আইসিসি। যেখানে বলা হয়েছে– ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোনো ব্যাটার আউট হওয়ার পর তাকে উদ্দেশ্য করে ভাষা-কোনো আচরণ কিংবা অঙ্গভঙ্গি করলে, যা ওই ব্যাটারকেও আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাতে উৎসাহিত করে।’