রাবিতে ১০ সাংবাদিক পেলেন ‘বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ১০ সাংবাদিককে ‘রাবিসাস অ্যালামনাই বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-২৪’ প্রদান করা হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স ভবনের কনফারেন্স রুমে এক অনুষ্ঠানে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি অ্যালামনাইর আয়োজনে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় প্রথম স্থানে রয়েছেন দৈনিক দেশ রূপান্তরের নোমান ইমতিয়াজ, যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন প্রথম আলোর সাজিদ হোসেন ও খবরের কাগজের সিরাজুল ইসলাম সুমন এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন আজকের পত্রিকার রিপন চন্দ্র রায় ও সমকালের অর্পণ ধর।

এ ছাড়া পাঁচজনকে বিশেষ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—দৈনিক বাংলার আসিফ আজাদ সিয়াম, কালবেলার সাজ্জাদ হোসেন, কালের কণ্ঠের মাহবুব হাসান, প্রতিদিনের বাংলাদেশের শাকিবুল হাসান এবং সাম্প্রতিক দেশকালের জাহিদুল ইসলাম।

আরও পড়ুনঃ   ৫ বছর পর সাবেক এমপি আয়েনের নামে মামলা

অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাবিসাস অ্যালামনাইয়ের সভাপতি কে এম শহীদুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব, সম্মানিত অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, রাবিসাসের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বুলবুল ও প্রতিষ্ঠাতা সহসাধারণ সম্পাদক আহমদ সফিউদ্দিন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদা নাসরিন কনকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাবিসাস অ্যালামনাইয়ের সাধারণ সম্পাদক রব মজুমদার। বক্তব্য দেন রাবিসাসের বর্তমান সভাপতি নোমান ইমতিয়াজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য সাংবাদিকতা গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক ক্ষেত্রে মাঠের পরিস্থিতির সঙ্গে সাংবাদিকতা মেলে না। বিগত দিনগুলোয় স্বৈরশাসনকে টিকিয়ে রাখতে সাংবাদিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমাদের বিগত দিনের এই ভুলগুলো শুধরে নেওয়া উচিত। কোথায় ভুল করলাম আর কোন স্বার্থের কারণে দেশ, সমাজ এবং দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলাম না, সাংবাদিকদের সেটা চিন্তা করা উচিত। আর বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চাইলেই সেটি করা সম্ভব।’

আরও পড়ুনঃ   এক বছর ধরে বন্ধ উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় গণমাধ্যম একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তারা আর ১০টি সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন, যুক্তিবাদী এবং তথ্যনির্ভর। আমি মনে করি, গণমাধ্যমে যারা কাজ করবে, তাদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ থাকা উচিত নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিগত সময়ে গণমাধ্যম অনেক বেশি পক্ষপাতদুষ্ট হতে দেখা গেছে। ফলে সাধারণ জনগণের গণমাধ্যমের ওপর বিশ্বস্ততা নড়বড়ে হয়ে গেছে।’