আফগানিস্তানের সাত সামরিক হেলিকপ্টার নিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক : ২০২১ সালে তালেবান যোদ্ধারা রাজধানী কাবুলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পর পালিয়ে যান আফগানিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। ওই সময় তড়িঘড়ি করে বেশ কয়েকটি সামরিক হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেগুলোর মধ্যে সাতটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দিয়েছে উজবেকিস্তান। সম্প্রতি ওয়াশিংটনের উজবেক দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

বিষয়টি জানার পর এ নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক তালেবান। তারা বলেছে, এসব হেলিকপ্টারের মালিক আফগান জনগণ। এগুলো তাদের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুনঃ   গাজায় নিহত আরও ৪৬ ফিলিস্তিনি, প্রাণহানি ৪৫ হাজার ছুঁই ছুঁই

এ ব্যাপারে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, “উজবেকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানের হেলিকপ্টার নেওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। প্রতিবেশী দেশগুলোকে আফগানিস্তানের অধিকারকে সম্মান জানানো উচিত। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাব এগুলো আফগানদের কাছে ফিরিয়ে দিতে কোনো বাধা প্রধান করবেন না।”

আশরাফ গণির সরকারের পতনের পর সবমিলিয়ে মোট ৪৬টি বিমান ও হেলিকপ্টার উজবেকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার আগে আফগানিস্তানের ১৬৪টি সামরিক উড়োজাহাজ ছিল। যেগুলোর মধ্যে এখন ৮১টি তাদের হাতে রয়েছে।

দেশটির সামরিক বিশেষজ্ঞ হাদি কুরাইশি বলেছেন, “উজবেকিস্তানের কাবুলের সঙ্গে চুক্তি করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা করেনি। এরবদলে আফগানদের সম্পত্তি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করেছে।”

আরও পড়ুনঃ   ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি হুথিদের

ফজল রহমান ওরিয়া নামে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানিয়েছেন, এখন এসব হেলিকপ্টার ফেরত পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান সরকারের সরাসরি কথা বলা উচিত। এছাড়া উজবেকিস্তানের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, “উজবেকিস্তানকে চাপ না দিয়ে তালেবান সরকারকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এছাড়া উজবেকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। যেন আফগানিস্তানের সামরিক সরঞ্জাম এবং উজবেকিস্তানে থাকা বাকি জিনিসপত্র আফগানিস্তানে ফিরে আসে।”