আরচ্যারির তারুণ্যের উৎসবে বিকেএসপির শ্রেষ্ঠত্ব

অনলাইন ডেস্ক : উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন আয়োজিত তারুণ্যের উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে শেষ হয়েছে। দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি।

তিনটি স্বর্ণ, তিনটি রৌপ্য ও চারটি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০ টি পদক জিতেছে বিকেএসপির‌ আরচ্যাররা। দুটি স্বর্ণ ও একটি রৌপ্যসহ মোট তিনটি পদক জিতে দ্বিতীয় হয়েছে নড়াইল জেলা। আর তৃতীয় হয়েছে ফরিদপুর জেলা। মোট আটটি ইভেন্টে হয়েছে প্রতিযোগিতা। আটটি দলের ছেলে ও মেয়ে মিলে মোট ৫৯ জন আরচ্যার অংশ নেয় চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায়।

তারুণ্যের উৎসবকে ধারণ করে চূড়ান্ত পর্বের আগে নীলফামারী, ফরিদপুর, টঙ্গীর আরচ্যারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নাটোরের খুবজীপুর, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে নানা আয়োজন সম্পন্ন করছে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন। গত ১৫ জানুয়ারী নীলফামারী থেকে শুরু হয়েছিল আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব।

আরও পড়ুনঃ   শহীদ ছাত্র-জনতাকে সাফ শিরোপা উৎসর্গ

আজ দিনব্যাপী নানা আয়োজনে আরচ্যারী প্রতিযোগিতা ছাড়াও ছিল পিঠা উৎসব, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বর্ণাঢ্য র‍্যালি দিয়ে শুরু হয় কার্যক্রম। এরপর চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, এনডিসি ও বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল।

বিকেলে হয়েছে সমাপণী অনুষ্ঠান। সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী আরচ্যারী ফেডারেশনের কার্যক্রম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরচ্যারীর সাফল্যের প্রশংসা করেন তিনি। পদক জয়ের ক্ষেত্রে দেশের অন্য যে কোনো খেলার চেয়ে আরচ্যারী এগিয়ে বলে উল্লেখ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব। এই খেলার উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতার কথা জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ   ১০ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ

আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরচ্যারীর যে সাফল্য তাতে এই ফেডারেশন জাতীয় সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে বলে মনে করেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে ২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমসে আরচ্যারীর ১০টি সোনার মধ্যে বাংলাদেশের সবকটি জয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। এছাড়া অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের আরচ্যারদের সরাসরি অংশগ্রহণ অন্য ফেডারেশন থেকে আরচ্যারীকে আলাদা করেছে বলে জানান কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল।