দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের জিম্মায় শাওন ও সাবা

অনলাইন ডেস্ক : রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে ডিবি হেফাজতে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, কিছু কিছু বিষয়ে ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা সংশোধনের সুযোগ চেয়েছেন। পরে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, বিকেল ৪টার দিকে মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহের আফরোজ এবং একই দিন মধ্যরাতে অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। তখন ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ   ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করলেন‌ ড. ইউনূস

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময়ই সরব ছিলেন অভিনেত্রী শাওন ও সাবা। অভিনয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পোস্টের পাশাপাশি রাজনীতি নিয়েও ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করতেন তাঁরা।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসে হোয়াটসঅ্যাপের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট। অভিযোগ, এই গ্রুপে যুক্ত হয়ে শোবিজের একদল শিল্পী অবস্থান নিয়েছিলেন বিগত সরকারের (শেখ হাসিনা) পক্ষে। সেই দলে অভিনেত্রী সোহানা সাবাও ছিলেন বলে গুঞ্জন ওঠে।

আরও পড়ুনঃ   বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

এ নিয়ে শোবিজ থেকে শুরু করে সামাজিকমাধ্যমে হয় তুমুল সমালোচনা। অনেকেই আবার এই গ্রুপে থাকা শিল্পীদের বয়কট করার আহ্বানও জানান। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি সাবা।

অপরদিকে মেহের আফরোজ শাওন একাধারে অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, পরিচালক ও স্থপতি। তিনি প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী। তাঁর বাবা মোহাম্মাদ আলী ও মা তহুরা আলী। তহুরা আলী আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন। শাওনের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার নরুন্দিতে। গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের পক্ষে ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি নিয়মিত পোস্ট দিয়ে আসছিলেন।