সব ধরনের আন্দোলন স্থগিত করলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সরকারের স্পষ্ট নীতি ঘোষণা করা হবে— এমন আশ্বাসে সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মহাখালীর রেলগেটে অবরোধ কর্মসূচির শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এমন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নায়েক নূর মোহাম্মদ বলেন, সামনে থেকে আর সাত কলেজ সম্বোধন করা হবে না। এখন থেকে বলতে হবে ৬ কলেজ। কারণ, তিতুমীর আর এই কলেজগুলোর সাথে থাকবে না। বরং স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এর আগে, সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রশাসনিক ভবনে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডলসহ ৩ জন অধ্যাপক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুইজন কর্মকর্তা এবং গুলশান জোনের উপ পুলিশ কমিশনারসহ শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের নেতারা জরুরি বৈঠক করেন।

আরও পড়ুনঃ   ১৮ জেলায় তাপপ্রবাহ, বাড়বে তাপমাত্রা

বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কলেজ-১ অধিশাখার যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডলসহ অবস্থান কর্মসূচিস্থলে এসে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিসমূহ পূরণের আশ্বাস দেন।

পরে শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান আন্দোলন ও আমরণ অনশন কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরকারকে তাদের সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামী ৭ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন করে তিতুমীরকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না করা হলে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় কর্মসূচি শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

আরও পড়ুনঃ   সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ চায় ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হচ্ছে —

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবানঅনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয়
সংযোজন করতে হবে।

৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।