স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে মেহেদী হাসান হিমেল নামের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের মালোপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাঁকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ মেহেদী হাসান ওরফে হিমেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তিনি রাজশাহীর বেসরকারি নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে রাজশাহী নগরীতে বসবাস করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর মালোপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে আটক করে মেহেদীকে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় মোবাইল ফোন চেক করে তাঁকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। পরে রিকশায় করে তাঁকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
সেসময় থানায় ছিলেন রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবদুর রহিম। তিনি বলেন, মেহেদী শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এ ছাড়া তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। রাজশাহীতে মাঝেমধ্যেই ওই রেস্তোরাঁয় বসে মেহেদীসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নিয়মিত বৈঠক করতেন। খবর পেয়ে রাতে তাঁরা সেখানে গেলে অন্যরা পালিয়ে যান। তবে মেহেদীকে তাঁরা ধরে ফেলেন। এরপর তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার একটি মামলা তিনি তদন্ত করছেন। সেই মামলায় মেহেদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।