তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর সমস্যা সমাধান করে প্রসংসায় ভাসছেন তানোর ইউএনও

সাইদ সাজু, তানোর: দেশের আইন যেন তার হাতে, এমন ভেবেই গ্রামবাসীর কথার তোয়াক্কা না করে শত বছরের রাস্তা কেটে পুকুর বানানো শুরু করেছিলেন মোজাহার আলী।গ্রামবাসী প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পারেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী তানোর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড মাসিন্দা গ্রামে। চলতি মাসের (৩০ জানুয়ারি) বৃহস্প্রতিবার সারাদিন পৌরসভার পাঁকা রাস্তার এজিং কেটে গর্ত খোড়ার কাজ করছিলেন মাসিন্দা গ্রামের মৃত মেসের আলীর পুত্র আলহাজ্ব মোজাহার আলী(৫০)। পরে রাতে গ্রাম বাসী বিষয়টি টের পেয়ে বাধাঁ দেওয়ার চেষ্টা করলে উল্টো গ্রামবাসীকেই বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয় সেই মোজাহার আলী।

গ্রামবাসীরা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করলে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন গণমাধ্যম কর্মীরা। গ্রামবাসী ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মোজাহার আলী রাতেই কথা দেন সকালে এই গর্ত ভরাট করে দেয়ার। কিন্তু পরদিন ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) আবারো সেই গর্ত করা জায়গাতে প্রায় ২০ টি নারিকেলের গাছ রোপন করার জন্য প্রস্তুতি নেন। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হলে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত (পৌর প্রশাসক) খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সেখানে আগে থেকেই শতশত গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ   সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইমাম ও মুয়াজ্জেমদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে: আসাদ

ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও গ্রামবাসীর কথা মতে সঙ্গে সঙ্গে তিনি নির্দেশনা দেন গর্তটি ভরাট করার জন্য এবং মোজাহার আলীকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য ফোনে কথা বলেন ইউএনও। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি মোজাহার আলী। তবে, মোবাইল ফোনে মোজাহার আলীর সাথে কথা বলে পরিষ্কারভাবে তাকে জানিয়ে দেন যে এমন কাজ তিনি যদি আবারো করেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে তাৎক্ষণিক নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতি ও সমিস্যা নিরসন করায় এলাকাবাসীর মানুষের কাছে প্রশংসায় ভাঁসছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার সহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ১৫

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসক খাইরুল ইসলাম বলেন, তানোর উপজেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তবে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ইউএনও খাইরুল ইসলাম।