বিপিএল ইতিহাসে এমন ফিফটি আগে দেখেনি কেউই!

অনলাইন ডেস্ক : পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে রানের খরা। অভিজ্ঞ নাইম ইসলামকে নিয়ে আসা হলো ওপেনার হিসেবে। আর তারপরেই বাজিমাত। উসমান খান দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে বড় স্কোর করতে না পারলেও টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান ঠিকই দিয়েছেন নাইম। খুব আগ্রাসী ব্যাট না চালালেও পেয়েছেন ফিফটির দেখা। বন্দরনগরীর দলটার ইনিংসের ভিতটাও গড়ে দিয়েছিলেন তিনিই।

৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৪১ বলে ৫৬ রান করে ফিরেছেন সাজঘরে। তবে ৩৬ বলে যখন ফিফটির ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেছেন তখন বিপিএলের রেকর্ডবুকে নিজের নামটা ঠিকই উঠিয়েছেন এই ব্যাটার। সবমিলিয়ে ৪ হাজার ৩৬৪ দিন পর দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে ফিফটির ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেছেন নাইম।

আরও পড়ুনঃ   এবার বাবর-শাহিনদের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে পিসিবি!

বিপিএলে দুই ফিফটির মাঝে এরচেয়ে বড় ব্যবধান আগে কখনোই দেখা যায়নি। নাইম শেষ বিপিএল ফিফটি পেয়েছিলেন ২০১২-১৩ আসরে। সেবার করেছিলেন ৭২ রান। কাকতালীয়ভাবে সেবারেও তিনি ছিলেন চিটাগাং কিংসের খেলোয়াড়।

বিপিএলে এর আগে দুই ফিফটির মাঝে সবচেয়ে বেশি ব্যবধান ছিল আফগানিস্তানের তারকা মোহাম্মদ নাবির। আফগান এই তারকা বাংলাদেশের ঘরোয়া আসরে দুই ফিফটির মাঝে দেখেছিলেন ২ হাজার ৬২৫ দিনের ব্যবধান। ২০১৬-১৭ আসরে চিটাগাং ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে ফিফটির পর ২০২৩-২৪ আসরে রংপুরের হয়ে পরের ফিফটি করেন নাবি।

আরও পড়ুনঃ   ৫৭৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করল দক্ষিণ আফ্রিকা

পাকিস্তানের দুই তারকা আহমেদ শেহজাদ এবং বাবর আজম আছেন এরপরেই। বিপিএলে শেহজাদের দুই ফিফটির মাঝে ছিল ২ হাজার ৬১৮ দিনের ব্যবধান। বাবরের দুই ফিফটিতে ছিল ২ হাজার ২৪৭ দিনের ব্যবধান।

প্রায় ১২ বছর পর ফিফটি পাওয়ার দিনে নাইম বল হাতেও ছিলেন দারুণ। ৬ রান খরচায় ২ উইকেট পেয়েছেন। ২০১৫-১৬ আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলার সময় ৭ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর পর এক ম্যাচে একাধিক উইকেটের দেখা পেয়েছেন। এমন একটা দিনকে নিশ্চিতভাবেই বহুদিন মনে রাখবেন ৩৮ বছর বয়েসী নাইম।