ইউক্রেনের যুদ্ধ অবসানে চুক্তি করতে চান জেলেনস্কি : ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক : ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করেছিল রাশিয়া। আর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের তিন বছর পূর্ণ হবে। তবে এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এমন অবস্থায় ইউক্রেনের যুদ্ধ অবসানে চুক্তি করতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমনটাই জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন। শপথ গ্রহণের পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি এর আগে বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চান এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রথম দিনেই তিনি সেটি করতে চেয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায়ই তাকে তার প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ   সুদানে মসজিদে বিমান হামলায় নিহত ৩১

জবাবে তিনি বলেন, “আচ্ছা, এটি দিনের অর্ধেক। দিনের বাকি অর্ধেক এখনও বাকি রয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মনে করেন- ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি করতে চান। প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “বেশিরভাগ মানুষ মনে করেছিল যে এই যুদ্ধ এক সপ্তাহে শেষ হয়ে যাবে।। আমি মনে করি, তিনি (জেলেনস্কি) এই যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে খুব ভালোভাবেই রাজি।”

আরও পড়ুনঃ   বিলাসবহুল ‘ড্রিম অব ডেজার্ট’ ট্রেনের নকশা উন্মোচন করল সৌদি

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সামরিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। এমনকি তিনি ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করার আগেই যুদ্ধ শেষ করবেন বলেও বিভিন্ন সময় বলা হয়েছিল।

তবে ট্রাম্পের শপথের আগে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তার সহকারীরা বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করার নতুন সময়সীমা হচ্ছে তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে, যা হবে এপ্রিলের শেষ নাগাদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ট্রাম্পের মনোনীত ব্যক্তি মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে তার পদের নিশ্চিতকরণ শুনানির সময়ে বলেন, “সংঘাত বন্ধ হয়ে গেলেও, নিজের প্রতিরক্ষার ক্ষমতা তাকে অর্জন করতে হবে”। তিনি বলেন, এটি হচ্ছে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিষয়।