কর্মী সম্মেলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহর থেকে সব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহর থেকে সব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়েছে। গত শনিবার কর্মী সম্মেলনের পর বিকেল থেকেই জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে নেমে পড়েন।

অপসারণ শুরু করেন নগর জামায়াতের আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী ও সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল নিজেই। এ ছাড়া নগর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন এবং সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকারকেও কর্মীদের নিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে দেখা যায়।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে গত শনিবার কর্মী সম্মেলন করে জেলা ও মহানগর জামায়াত। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তাঁর আগমন উপলক্ষে পুরো শহরেই ব্যানার-ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছিল। মোড়ে মোড়ে তোরণে সেজে উঠেছিল রাজশাহী।

আরও পড়ুনঃ   অফিসে টাকার ছড়াছড়ি, চুরি হলেই সুইপার বিজয় হেলাকে দোষারোপ

তবে কেউ কেউ ব্যানার-ফেস্টুনের সমালোচনাও করছিলেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কর্মী সম্মেলন শেষ হলে তাঁরা নিজ উদ্যোগেই সব অপসারণ করে নেবেন। সে অনুযায়ী সব ব্যানার-ফেস্টুনই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকালে শহর ঘুরে কোথাও ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়নি।

মহানগর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। কর্মী সম্মেলন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিতে নেমে পড়ি যেন শহরের সৌন্দর্য নষ্ট না হয়। এর ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা সব ব্যানার-ফেস্টুনই সরিয়ে নিয়েছি। এখনো যদি কোথাও দু–একটি ব্যানার-ফেস্টুন থেকে থাকে, তাহলে সেটি দেখামাত্রই আমাদের লোকজনই সরিয়ে নেবে।’

আরও পড়ুনঃ   ভুয়া সেনা কর্মকর্তার পরিচয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি, যুবক গ্রেপ্তার

তিনি বলেন, ‘এত বড় একটা সমাবেশ হলো, প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মী এসেছিলেন। আমরা কিন্তু কোনো বাসও শহরের মধ্যে ঢোকাইনি। সব বাস শহরের বাইরে রেখে নেতা-কর্মীরা হেঁটে সমাবেশস্থলে গিয়েছেন। ফলে শহরে যানজটও হয়নি। কোনো মানুষের দুর্ভোগও হয়নি।’