অন্তঃকোন্দলের জেরে পল্লবীতে ‘ব্লেড বাবু’কে কুপিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর পল্লবী থানাধীন সিরামিক রোডে একই গ্রুপের অন্তঃকোন্দলের জেরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে মো. বাবু ওরফে ব্লেড বাবুকে (৩২)।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পল্লবী থানাধীন ১২ নং সেকশনের সিরামিক রোডের বঙ্গবন্ধু কলেজের পাশে নতুন রাস্তার মুখে চাপাতি, সুইচ চাকু, ইট দিয়ে থেঁতলিয়ে আহত করা হয় বাবুকে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রথমে তাকে স্থানীয় খ্রিষ্টান হাসপাতালে, পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় রমজান নামে আরও একজন আহত হন।

পল্লবী থানা পুলিশ বলছে, নিহত ব্লেড বাবুর বাবার নাম মুস্তাকিম, মা নাজমা বেগম। মিরপুর-২ নম্বরের ৬০ ফিট ছাপরা মসজিদ এলাকায় তার বাসা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম থানার বাইরে থাকায় তথ্যের জন্য থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুনঃ   শেরপুরে কিশোরকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা: পুলিশ

পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাবাহ বলেন, ব্লেড বাবু নিজেই সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, হত্যা, সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ নানা অভিযোগে রয়েছে একাধিক মামলা। তার গ্রুপের মধ্যে আজ বিকেলে অন্তঃকোন্দল দেখা দেয়।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এসআই আবু সাবাহ বলেন, ব্লেড বাবুকে অন্তঃকোন্দলের জেরে বিকেলে পল্লবী থানাধীন ১২ নং সেকশনের সিরামিক রোডের বঙ্গবন্ধু কলেজের পাশে নতুন রাস্তার মুখে চাপাতি, সুইচ চাকু, ইট দিয়ে থেঁতলে আহত করে গ্রুপের অন্যরা। কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় পাঁচজন জড়িত। তারা হলেন রাজন (৩৫), রনি (২৬), মুরাদ (৩০), তুফান (২৭) ও সাইফুল (২৪)। অজ্ঞাতপরিচ আরো ৩/৪ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই একই গ্রুপের।

মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে উল্লেখ করে আবু সাবাহ বলেন, এঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মামলা দায়েরের পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। মরদেহ এখনো কুর্মিটোলা হাসপাতালে রয়েছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

আরও পড়ুনঃ   সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ভারতে পাচারের সময় ১৭ কেজি ইলিশসহ ট্রাকচালক গ্রেপ্তার

স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে ব্লেড বাবু ও সন্ত্রাসী মুসার দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই জেরে আজ তাকে বিকেলে মুসার লোকজন ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। অভিযুক্ত মুসা সাবেক এমপি আউয়ালের অনুসারী। অবিভক্ত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মুসা। টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ওমানে পালিয়ে যাওয়া মুসাকে ফিরিয়েও আনে ডিবি পুলিশ। তার জবানবন্দিও গ্রহণ করা হয়। সম্প্রতি তিনি ওই হত্যা মামলায় জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে আজ এঘটনা ঘটান।

এব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই আবু সাবাহ বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত এরকম কোনো তথ্য আমরা পাইনি। তবে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।