ভোলাহাটে বিএমডিএ’র গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগে তুঘলকি কাণ্ড: মারাত্বক দূর্ঘটনার আশঙ্কা

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ স্কীমের “খন্ডকালীন অপারেটর কাম রেকর্ড কিপার” নিয়োগে তুঘলকি কান্ড চলছে! নানা ধরণের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টিতে যেকোন সময় মারাত্বক দূর্ঘটনার বেঁধে যাবার আশঙ্কা!

সূত্রে জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলার সেচ কাজে ব্যবহৃত ২১৮ টি গভীর নলকূপের খন্ডকালীন গভীর নলকূপ অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তুঘলকী কাণ্ড আর বিশৃংখলা সৃষ্টিতে এলাকায় চাপা ক্ষোভ কৃষকদের মধ্যে। নিয়োগকৃত ও নিয়োগ বঞ্চিতদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। যেকোন সময় দাঙ্গাহাঙ্গামা বেঁধে যাবার আশঙ্কায় চলমান পরিস্থিতি। উপজেলা বিএমডিএ অফিসে এর আগে প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুনঃ   রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত নারীর মৃত্যু

এ নিয়ে এলাকায় নানা কথার গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। দু’গ্রুপের মধ্যকার বিএমডিএ অফিসে উড়ো চিঠি আর নিয়োগকৃতদের বাতিলের দরখাস্তের ছড়াছড়ির দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। অফিসের অন্যসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কিত। এযেনো তুঘলকী কাণ্ডর দৃশ্য। প্রতিদিন তিন-চার গ্রুপের নেতাদের অফিসে যাতায়াত লেগেই রয়েছে।

আরো জানা গেছে, বিএমডিএ’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিয়োগকৃতদের মধ্য রয়েছে একই বাড়ীতে ৩জন অপারেটর। ফের কেউ ইস্কুল টিচারও রয়েছেন। রয়েছেন সাংবাদিক অপারেটর। আওয়ামীপন্থী রয়েছেন ডজন খানিকেরও বেশী। সবমিলিয়ে যেনো বিএমডিএ’র নিয়োগ প্রক্রিয়া গজাখিচুরীতে পরিণত। দেখার যেনো কেউ নেই।

নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কেউ কেউ অটোমেটিক অপারেটর হয়েছেন। যাদের মধ্যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো না।
এ ধরণের পরিস্থিতিতে উপজেলার গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ চূড়ান্ত ফলাফল না পেলে কৃষকেরা পড়বেন বেকায়দায়। বর্তমান ধান আবাদের ভরা মৌসূম চলে এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ে কৃষকগণ আবাদে মনোনিবেশ না করলে তারা বোরো আবাদের ধান ঘরে তুলতে পারবে না বলে এলাকার অভিজ্ঞমহল তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।

আরও পড়ুনঃ   বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী লোকমান হাকিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এলাকার সাধারণ কৃষকের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা এমনকিছু করিয়েন না, যাতে আমার ও কৃষকদের খারাপ কিছু ঘটে।