ইমরানের বিশ্ববিদ্যালয় এখন আমার দখলে : মরিয়ম নওয়াজ

অনলাইন ডেস্ক : যে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের দুর্নীতির মামলায় সম্প্রতি ১৪ বছর কারাবাসের সাজা পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সেই আল কাদির বিশ্ববিদ্যায়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ আদালত পাকিস্তানের সরকারের কাছে ন্যস্ত করেছে। দেশটির পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার পাঞ্জাবের ওকারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘হোনহার স্কলারশিপ’ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরিয়ম। সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “ইমরান খানের বিশ্ববিদ্যালয় এখন আমার দখলে। জবাবদিহিতা আদালত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে ন্যস্ত করেছেন।”

পাঞ্জাবের বাহারিয়া টাউন এলাকায় অবস্থিত আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। ইমরান খান তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০২২ সালে বিরোধীদলীয় এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল আল কাদির ট্রাস্টে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (ন্যাব) তদন্ত করে জানায়, ইমরান এবং মামলার অন্যান্য আসামিরা প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপি তহবিল থেকে সরিয়ে যুক্তরাজ্যে পাচার করেছেন। যুক্তরাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) মাধ্যমে ব্রিটিশ মুদ্রায় এই অর্থের সমপরিমান ১৯ কোটি পাউন্ড দেশে আনতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানে বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোট সরকার।

আরও পড়ুনঃ   জন্মহার বাড়াতে অফিসে কাজের ফাঁকে যা করার পরামর্শ পুতিন সরকারের

গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের জবাবদিহিতা আদালত ইমরান খানকে এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছর এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ সরকারকে অর্পণ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ   নারীদের ব্যবহৃত স্থান দেখা যায়, আফগানিস্তানে এমন জানালা নিষিদ্ধ

ভাষণে মরিয়ম বলেন, “আল-কাদির ট্রাস্টে যে বড় ধরনের চুরি হয়েছে, তা আজ প্রমাণিত। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরান খানই প্রথম ব্যক্তি, যিনি দুর্নীতি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।”

আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও ল্যাপটপ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

“আমি আমাদের বাচ্চাদের হাতে বৃত্তি ও ল্যাপটপ তুলে দিতে চাই, পেট্রোল বোমা নয়। আমাদের যেসব সন্তানদের হাতে পেট্রোল বোমা তুলে দেওয়া হয়েছিল, সন্ত্রাসী বানানো হয়েছিল— তারা এখন কারাগারে আছে। আমরা এমন তরুণ প্রজন্ম চাই না, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিতে প্রভাবিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে।”