চাঁদা না পেয়ে ছাত্রদল–যুবদলের ২ নেতাকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদা না পেয়ে রাজশাহীর পবায় ছাত্রদল–যুবদলের দুই নেতাকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। আহত দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার দর্শনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং পবার দামকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম সরকার। দুজনেই পবার দামকুড়া ইউনিয়নের শীতলাই এলাকার বাসিন্দা।

আহত মাসুম সরকার জানান, যুবদল নেতা হাবিব এবং তিনি দর্শনপাড়া এলাকায় একটি পুকুর খনন করছেন। বৃহস্পতিবার পবার দর্শনপাড়া এলাকার ছাত্রদলের সাবেক নেতা জনি এবং তাঁর সহযোগীরা তাঁদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাঁরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরের দিন শুক্রবার বিকেলে জনি, তার সহযোগী দারুশার সুমন এবং রাজশাহী মহানগরীর রাণীদিঘির পাপ্পু, শ্রীরামপুর এলাকার পাপ্পুসহ ১৫ থেকে ২০ জন পুকুর খননের স্থানে যান।

আরও পড়ুনঃ   কুয়াকাটায় হোটেলে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ, তিন সঙ্গী পুলিশ হেফাজতে

এ সময় জনির নেতৃত্বে তাঁরা যুবদল নেতা হাবিবের ভাই মোবারক এবং এক্সকাভেটর (মাটি খননযন্ত্র) চালক দেলোয়ারকে অপহরণ করে। এরপর হাবিব ও মাসুম সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে দারুশা-নওহাটার রাস্তায় অপহৃত মোবারক ও দেলোয়ারকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় চাঁদাবাজেরা হাবিব ও মাসুমের ওপর হামলা চালান।

তিনি আরও জানান, অপহৃতদের উদ্ধারের সময় চাঁদাবাজেরা তাঁকে এবং হাবিবকে ছুরিকাঘাত করে। তাঁর বাঁ হাত এবং পিঠে ছুরির ছয়টি আঘাত রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরে রক্ত দেওয়া হয়েছে। একইভাবে হাবিবের পিঠে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হামলার সময় চাঁদাবাজেরা আগ্নেয়াস্ত্রও প্রদর্শন করে। এ সময় পুকুর খননের কাজে খরচের জন্য তাঁদের কাছে থাকা সাত লাখ টাকাও কেড়ে নেয় চাঁদাবাজেরা। চলে যাওয়ার সময় নিয়ে যায় দুটি মোটরসাইকেল।

আরও পড়ুনঃ   দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক জনি বলেন, ‘আহত যুবদল নেতা হাবিব আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ ছাড়া অপর আহত মাসুম আমার বড় ভাই। আমি হামলা বা অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। চাঁদা দাবির অভিযোগও ভিত্তিহীন। তাদের ওপর হামলার পরে আমি তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রেখেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

জানতে চাইলে কর্ণহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’