জামিনে বের হয়ে থানার এক কন্সটেবলকে জিম্মি করে টাকা দাবি আসামির

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ছিনতাই মামলায় জেল খেটে জামিনে বের হয়ে কম্পিউটার অপারেটর এক কন্সটেবলকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে আসামির বিরুদ্ধে।

শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ভোরে ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর রাজপাড়া থানাধীন টুলটুলি পাড়ার মোড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে জিম্মি কন্সটেবলকে উদ্ধার করে। তবে ঘটনার সাথে জড়িত ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফুল আলম প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মো. মিলন (৩৫)। তিনি নগরীর হড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি-ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। আর জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার হওয়া কন্সটেবলের নাম বদিউজ্জামান জনি। তিনি রাজপাড়া থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন।

আরও পড়ুনঃ   অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের বাছাই পর্ব ১০ জুলাই

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, কন্সটেবল জনি থানার ডিউটি শেষ করে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন টুলটুলি পাড়ায় পৌছালে মিলন প্রায় ১০-১২ জনকে সাথে নিয়ে জনিকে জিম্মি করে তার কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। এসময় জনি তার বন্ধু মিনহাজকে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। মিনহাজ বিষয়টি জনির বাবাকে জানান। জনির বাবা রাজপাড়া থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কন্সটেবল জনিকে উদ্ধার করে।

(ছবি: মিলনের সহযোগী সানোয়ার) 

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মিলন পালিয়ে পায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে মিলনের সহযোগী সানোয়ারকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, চলতি বছরে নগরীর চিড়িয়াখানা সড়কে স্বামী-স্ত্রী মোটরসাইকেলে যাবার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন। ঐ মামলায় মিলনকে গ্রেপ্তার করে রাজপাড়া থানা পুলিশ। আর সেই মামলাটি থানায় কম্পিউটারে কম্পোজ করেছিলেন কন্সটেবল জনি। যা মিলন দেখেছিলেন। মিলন সেই ছিনতাই মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে এসেছে। এর পর থেকেই ওৎ পেতে ছিলেন মিলন। শুক্রবার ভোরে কন্সবেটবল জনিকে একা পেয়ে দলবল নিয়ে তাকে আটক করে মুক্তিপন দাবি করে মিলন। ঘটনার পর থেকে মিলন পলাতক রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   আর কোনো শহীদের লাশ উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না : সারজিস

ওসি মো. আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় সানোয়ার নামে মিলনের এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কন্সটেবল জনির বাবা বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।