স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা মৌসুমের সর্বনিম্ন। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। ফলে উত্তরের এই জেলায় শীত আরও বেড়ে গেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী আজ থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটি কদিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।
এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। ফলে শহরের রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল কিছুটা কম লক্ষ করা যাচ্ছে। ভোরে সূর্য উঠতে দেরি হওয়ায় কুয়াশার মধ্যে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
তবে শীতবস্ত্র নিয়ে এখনো সেভাবে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। শীত বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শীতের কারণে মাঠে মাঠে রবিশস্যেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, কিছু ফসল আছে যেগুলো শীত মৌসুমের জন্যই। শীতের কারণে সেসবের তেমন একটা ক্ষতি হবে না। তার পরও কিছু কিছু ফসলের ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সারাক্ষণ মাঠে থাকছেন। কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে ক্ষতি এড়ানো যায়।