ভারত চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক : রিজভী

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ এর জনগণের কথায় চলুক, ভারত তা চায় না।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-আগরতলা লংমার্চ শুরুর আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘ভারত নিজেরা গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু তারা চায় না বাংলাদেশ এর জনগণের কথায় চলুক। বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব- এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি। এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেবো? আমরা পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, দিল্লির কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করবো?’

ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারত সীমান্ত অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ‘লংমার্চ’ এর উদ্বোধন করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ভারতের আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই লংমার্চ করছে তারা।

আরও পড়ুনঃ   ময়মনসিংহে ৬ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ৭টার পর থেকে বিএনপির তিন সংগঠনের নেতা-কর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।

সংগঠন তিনটির নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নয়াপল্টন থেকে তাদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। লংমার্চের বহরে বিপুল সংখ্যক গাড়ি রয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাব-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরব পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেবে।

আরও পড়ুনঃ   ‘সংস্কার ও বিচারে এক থাকুন, আমরাই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেব’

এদিকে লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভারত রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিচ্ছে। ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ!’

তিনি বলেন, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার লোকেরা নিজেদের কথায় চলুক, এটা ভারত চায় না। দিল্লির কথায় চলতে হবে কেন? তিনি প্রশ্ন করেন।

বিএনপির তিন সংগঠনের আয়োজনে এই লংমার্চ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।

পরে আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ শুরু হয়।-বাসস