চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে প্রতারণা,ভ্রাম্যমাণ আদালতে লাখ টাকা জরিমানা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক সেজে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার করিমপুর ত্রিমুহনী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। আড়ালত পরিচালনা করেন উপজেলা ভূমি অফিসের সহাকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাতুল আরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ভূয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম এসএম মিলকান আলী তুহিন (৪৩)। তিনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বাসিন্দা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এসএম মিলকান আলী তুহিন রোববার করিমপুর ত্রিমুহনী বাজারে আসেন। সেখানে সোমবার সকালে ফ্রি চক্ষু শিবির বসার কথা ছিল। চক্ষু শিবিরে রাজশাহীর চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখবেন বলে প্রচারণা চালান তুহিন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী করিমপুর ত্রিমুহনী বাজারে বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়। তবে সেখানে চক্ষু বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক ছিলেন না। এসএম মিলকান আলী তুহিন নিজেই চক্ষু শিবিরে চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছিলেন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তার কাছ থেকে রোগীদের ওষুধ কিনতে বাধ্য করেন। এতে স্থানীয় লোকজনদের সন্দেহ হয়।

আরও পড়ুনঃ   আমরা সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই: তারেক রহমান

তারা উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাতুল আরা ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ নির্ঝরকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। যাচাই-বাছাই শেষে ভুয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলে প্রমাণিত হয়। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভুয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।

আরও পড়ুনঃ   মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফজলুর রহমান খান মারা গেছেন

উপজেলা ভূমি অফিসের সহাকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাতুল আরা বলেন, “ওই ভুয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ২০১০ সালের বিএমডিসি আইনের ২৯ ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব কাজ তিনি আর করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।”