শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সারদায় আরও ৩ এসআই ক্যাডেটকে অব্যাহতি

স্টাফ রিপোর্টার : শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৪০ তম এসআই ক্যাডেট ব্যাচের আরও তিন প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়।

পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজই তাদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ মাঠে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপারে যথাযথ জবাব দিতে না পারার কারণে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ২১ অক্টোবর ৪০ তম এসআই ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন ও ৪ নভেম্বর একই ব্যাচের আরও ৫৮ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা এবং প্রশিক্ষণ চলাকালে অমনোযোগী থাকার অভিযোগ আনা হয়। সব মিলিয়ে এই ব্যাচের ৩১৩ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

আরও পড়ুনঃ   আরও পেশাদার ও দক্ষ বাংলাদেশি নিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ লিবিয়ার

আজ অব্যাহতি পাওয়া তিনজনকে গত ১৩ নভেম্বর শোকজ করা হয়। ‘কৈফিয়ত তলবনামা’ শিরোনামে ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ১২ নভেম্বর জিমনেসিয়ামে ক্যাডেট এসআইদের রাত্রিকালীন কম্বাইন্ড ক্লাস ছিল। ওই ক্লাসে যাওয়ার সময় কোম্পানির সিএই যথাসময়ে ফলইন করিয়ে রওনা করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আপনি মূল দল থেকে আলাদা হয়ে যান। আপনাকে বারবার দলের সঙ্গে মিলে সঠিকভাবে মার্চিং করে যেতে বললেও আপনি কোম্পানির সিএইচএম এর কথা না শুনে কমান্ড অমান্য করে সঠিকভাবে মার্চিং না করে উচ্চ স্বরে হইচই করতে থাকেন।

এই ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থী মর্মে কোম্পানি সিএইচএম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাই আপনাকে কেন চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হবে না তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

আরও পড়ুনঃ   স্কুল ভর্তি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

তবে যে কারণ দেখিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয় সে রকম কোন ঘটনা মাঠে ঘটেনি বলে দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অব্যাহতি পাওয়া এক ক্যাডেটের। তিনি বলেন, ‘যে অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেদিন এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না সারদা কর্তৃপক্ষ। আমাদের অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’