স্টাফ রিপোর্টার : আজ রবিবার সকালে বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর আয়োজনে নগর ভবনের হলরুমে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ‘আমরাই সেরা’ বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।‘আধুনিক গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মিডিয়ার ভূমিকাই প্রধান’- এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বিতর্কের ফাইনাল রাউন্ডে পক্ষে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বাউয়েট)নাটোর এবং বিপক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
বিভাগীয় কমিশনার বিতার্কিকদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা অনেক ভালো করেছো। তবে কিছু কিছু জায়গায় তোমাদের সামান্য ঘাটতি রয়েছে। বাচনভঙ্গি ও বিপক্ষ দলকে প্রশ্ন করার কৌশলসহ তথ্য নির্ভর বক্তব্য প্রদানে তোমাদের আরও দক্ষ হতে হবে।এ বিষয়গুলোতে আরও ভালো করে তোমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো দেশের গণমাধ্যম যদি জবাবদিহিমূলক হয় এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকে তাহলে ওইদেশে দুর্ভিক্ষ থাকবে না।এই মূহুর্তে আমাদের দেশে রাষ্ট্র সংস্কার চলছে এবং ১০টি সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে। সরকারের প্রভাবমুক্ত একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম গঠন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাউয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.মিজানুজ্জামান,বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মো. হাসান আখতারএবংরাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম কণক বক্তৃতা করেন। বিতর্কটিতে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর উপআঞ্চলিক পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল হাসান। শ্রোতা হিসেবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চূড়ান্ত বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বাউয়েট)এবং রানার আপ হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন রাবির বিতার্কিক মো. সিফাত হোসাইন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও রানার আপ উভয় দলের হাতে ক্রেস্ট এবং সনদ তুলে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, এবছর পহেলা আগস্টথেকে শুরু হওয়া এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ হতে মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে।