বিসিবি পরিচালক নিয়ে এনএসসির চিঠি

অনলাইন ডেস্ক : দেশের সকল ফেডারেশনের অভিভাবক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অন্য সব ফেডারেশনের মতো একটি সংস্থা হলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ক্রিকেট বোর্ডকে তেমন তদারকি করতে পারেনি বেশ কয়েক বছর। সম্প্রতি সেই চিত্র খানিকটা বদলেছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম আজ (সোমবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বরাবর চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির কাছে জানতে চেয়েছে পর পর তিন সভায় কোন পরিচালকগণ অনুপস্থিত ছিলেন।

বিসিবির গঠনতন্ত্র মোতাবেক টানা তিন সভায় অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট পরিচালক পদশুন্যের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এই শুন্য পদ পুরণে বিসিবি কি পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চলতি মেয়াদে বিসিবির প্রতি সভায় পরিচালকদের উপস্থিতিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   এক সেঞ্চুরিতেই শচীন, বিরাট আর বাবরকে পেছনে ফেললেন গুরবাজ

৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর বিসিবির অনেক পরিচালক সক্রিয় নেই। বোর্ড সভা বা ক্রিকেটীয় কর্মকান্ডের সঙ্গে তারা জড়িত নেই। এদের মধ্যে অন্যতম তানভীর আহমেদ টিটো, নজিব আহমেদ, আ জ ম নাসির, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, নাজমুল হাসান পাপন, শেখ সোহেল, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মঞ্জুর কাদের, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

সক্রিয় পরিচালকের মধ্যে রয়েছেন নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ, নাজমুল আবেদীন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, স্বপন, মঞ্জুরুল আলম, আকরাম খান, সালাউদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইনাম আহমেদ।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শুধু বিসিবি সভাপতি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছিল। ফলে তিনি এখনো পরিচালক হিসেবে আছেন নিয়মানুযায়ী। অথচ বিসিবির ওয়েবসাইটে পরিচালক হিসেবে পাপনের নাম নেই। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিসিবির নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে নাইমুর রহমান দুর্জয় পদত্যাগ করেন। কিছু দিন সাবেক জাতীয় অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনও পদত্যাগ করেন। এনএসসি কোটায় দুই জন পরিচালক ছিলেন জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল ববি। এই দুই জনের স্থলে এনএসসি থেকে মনোনীত হন ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

আরও পড়ুনঃ   ১০ বছরের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের

বিসিবির নির্বাচিত পরিচালক ২৩ – ক্লাব ক্যাটাগরিতে থেকে ১২, জেলা-বিভাগীয় কোটায় ১০, সাবেক খেলোয়াড় কোটায় ১ । এনএসসি কোটায় ২ জন পরিচালক মনোনীত হন। সব মিলিয়ে পরিচালনা পর্ষদ ২৫ জনের।

যে কোনো সংস্থা / প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দেশের শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা হলেও গঠনতন্ত্রের সঙ্গে কার্যক্রমের ব্যাপক ফারাক। বিসিবিকে দেয়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চিঠিতে গঠনতন্ত্র অনুসরণের সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। দীর্ঘদিন পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবিকে তদারকিমুলক চিঠি প্রেরণ করল।