জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি ও কথামালা প্রসঙ্গ

আন্দোলন মূলত এক প্রকার প্রতিক্রিয়া। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, সরকারের গৃহীত নীতি এবং কোনো উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিক্ষোভ বা আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনে কারণ হিসেবে কাজ করে- সামাজিক অবিচার, রাজনৈতিক অসন্তোষ, অর্থনৈতিক কষ্ট, পরিবেশগত উদ্বেগ, মানবাধিকার
লঙ্ঘন, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আন্দোলন বা আন্তর্জাতিক সংহতির প্রদর্শন ইত্যাদি। বিগত
সময়ে কিছু আন্দোলন এই তত্ত্বকে সমর্থন করে। যেমন: অরেঞ্জ বিপ্লব (Orange Revolution) নয়
বছর আগে কমলা রংয়ে ছেয়ে গিয়েছিল কিয়েভের রাজপথ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি নির্মূল – এসব
দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে লাখো মানুষ জমায়েত হয়েছিল ইউক্রেনের রাজপথে। ২০০৪ সালে
ইউক্রেনের গণআন্দোলন সাড়া জাগিয়েছিল সারা বিশ্বে। তিউনিশিয়া, মিশর, লিবিয়াসহ বেশ কিছু
দেশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা হয়।
'আরব বসন্ত' (Arab Spring) ২০১০ সালের শেষে এবং ২০১১ সালের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্য ও
উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে শুরু হওয়া একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের সমষ্টিগত
নাম। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বৈরশাসন, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অসাম্য, এবং রাজনৈতিক
স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার অর্জন করা। আরব বসন্তের
ভেতর দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সমাজের নিচতলায় মানসিক একটা জাগরণ ঘটে যায়। ভয়ের সংস্কৃতি পেছনে
ফেলে জেগে ওঠে মানুষ। বসন্তের শুরুই হয়েছিল শ্রমজীবীদের দ্বারা। চলমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও
উৎপাদন সম্পর্কে বিপর্যস্ত ছিল তারা। স্বাভাবিকভাবে অভ্যুত্থানের ঢেউয়ে কুখ্যাত শাসকেরা
একের পর এক বিদায় নেওয়া শুরু করলে প্রায় সব সামাজিকগোষ্ঠী বহুকালের বঞ্চনা ও নিপীড়নের
প্রতিকার চাইতে শুরু করে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত চাইছিল আয় ও বাজারদরে ভারসাম্য
থাকুক। সেই প্রত্যাশা আংশিক পূরণ হলেও জন প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি।বিশ্লেষকগণ মনে
করেন,আরব বিশ্বের গণ-অভ্যুত্থান আংশিকভাবে ব্যর্থ হয়েছিল কারণ সেখানকার রাজনীতিতে
তরুণদের ভূমিকা খুবই সীমিত ছিল।
জুলাই বিপ্লব : ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান বা জুলাই বিপ্লব বলতে বাংলাদেশে  কোটা সংস্কার
আন্দোলন ২০২৪  ও  অসহযোগ আন্দোলন ২০২৪ -এর সমন্বিত আন্দোলনকে বোঝানো হয়। ২০২৪
সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর
বাংলাদেশ সরকারের জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন করে
শুরু হয়, এই আন্দোলনে তৎকালীন  ফ্যাসিবাদী সরকার  দমন নিপড়ন শুরু করলে এটি অসহযোগ
আন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জেনারেশন-জেড (জেন-জি) আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে
একজন স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েই থেমে যায়নি। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার
আগে সাধারণ ছাত্রছাত্রী এবং বয় স্কাউটরা ট্রাফিক পুলিশ, নগর পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তা
কর্মীর দায়িত্ব পালন করেছে। এর চেয়ে হৃদয়গ্রাহী দৃশ্য আর কী হতে পারে যেখানে মাদ্রাসার
ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে।
দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, দুর্বল অর্থনীতি, অর্থনৈতিক মন্দা,
বেকারত্ব, চরম দারিদ্র্য ও শিক্ষিত হতাশাগ্রস্ত যুবসমাজ বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের
অসন্তোষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এ
ছাড়াও সম্পদের সুষম বণ্টন হয়নি। খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য
হয় সাধারণ মানুষ। আন্দোলনের শুরুটা করেছিল তরুণ সমাজ। এই তরুণ সমাজ মূলত সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আন্দোলন গড়ে তোলে।

দেয়ালেরও কান আছে, এ বাক্যটি আমরা ছোটোবেলা থেকে শুনে আসছি। দেয়ালের কান থাকবার
কথা নয়, দেয়াল নিথর এক জড় পদার্থ। কিন্তু দেয়ালের শুধু কানই নয় তার চোখ, মুখ, অবয়ব আছে।
তার ভাষা আছে। দেয়াল তার জলদবল পাথর ভেঙে জল, কাদা, শেউলিতে অথবা রঙের ওপর রঙ চড়িয়ে
এক সর্বগ্রাহ্য কথা কয়ে যায় প্রতিনিয়ত। দেয়াল কষ্টে, বিষণ্নতায়, আনন্দ-বেদনায় প্রতিবাদের
ভাষা হয়ে ওঠে। জনমনস্তত্ত্ব গড়ে তোলায় চিত্রশিল্প কতটা ভূমিকা রাখতে পারে জুলাই জুড়ে চলা
আন্দোলনে সেটা দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে অসংখ্য কন্টেন্ট এর শেয়ার,লাইক ও
কমেন্ট হয়েছে্ ফলে আন্দোলন গতিপ্রাপ্ত হয়েছে। শহরের আন্দোলন পৌছে গেছে তৃণমূলে।
শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে নানা পেশা অর বয়সের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে
কার্টুন আর গ্রাফিতি পৌছে গেছে দেোয়ালে। তরুণরা নিজেদের শক্তি পেয়েছ এর মাধ্যমে আর
আন্দালনে ঝাপিয়ে পেড়েছ দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে। অর্ধযুগ আগেও ঢাকা নগরীর কিছু দেয়া‌লে শোভা পেতো
গ্রা‌ফি‌তি আর্ট। সেই সময় দেয়ালচিত্রে দেখা যেত পলায়নপর যুবক সুবোধকে। চোখে পড়ত সুবোধের
খাঁচাবন্দি সূর্য আর বারবার পালিয়ে যাওয়ার বার্তা। দেয়া‌লে আঁকা সেই সু‌বোধ চ‌রিত্রটি নিয়ে বেশ
আলোচনা বা হাস্যরসের সৃষ্টি হতো। ধীরে ধীরে নগরবাসীর কা‌ছে গ্রা‌ফি‌তি শিল্প প‌রিচিতি পেয়ে যায়।
সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের গতি প্রকৃতি এরকম। আনাড়ি হাতে আঁকা, হেঁড়ে গলায় গান গাওয়া,
তাতক্ষণিক প্যারোডি করা—এসবই সংগ্রাম-প্রতিরোধের অংশ। হাই-আর্ট বা প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার
লেন্স থেকে দেখলে একে বোঝা যাবে না। দেশে দেশে, নানা সময়ে, প্রবল প্রতাপ ক্ষমতা বা
মতাদর্শের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিরোধ এমন গেরিলা কায়দায়ই হয়েছে ও হচ্ছে। হয়তো ভবিষ্যতেও
হবে। হাজার বছর ধরে মানব সভ্যতায় আর্টের নানা ফর্ম টিকে আছে। কারণ আছে বলেই টিকে আছে।
আর্ট মানুষের জীবনকে ইমিটেট করতে পারে। অনুপস্থিত বাস্তবতা হাজির করতে পারে। আর্টের নানা
ফর্মে মানুষ তার নিজের মুখ দেখতে পায়। ব্যক্তি থেকে সামষ্টিক আকাঙ্ক্ষাকে আর্ট ধারণ করতে
পারে, ভাষাহীনকে ভাষা দিতে পারে। যে যতটা কার্যকরভাবে, সক্ষমতার সঙ্গে কাজটা করতে পারে,
তার কাজ তত বেশি গ্রাহ্যতা পায়। এখানে বলে রাখা ভালো, আর্টিস্টের কাজের এরিয়া বা পরিসর
থাকে। ব্যক্তি আর্টিস্ট যেমন প্রেম-দুঃখ-স্বপ্নে আক্রান্ত হয়ে নিজেকে প্রকাশ করার তাড়না পান,
ঠিক তেমন বৃহৎ-সামষ্টিক পরিসরেও যুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার ভেতরে কাজ করতে পারে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা দাবির আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ
করে দেশ ছাড়েন ফ্যাসিবাদী সরকার। তার আগেই ঢাকার দেয়ালে আকা হয় গ্রাফিতি ও বিপ্লবী
কথামালা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার
গঠিত হয়েছে। যে সরকারের কাছে ছাত্র-জনতার আকাঙ্খা বৈষম্যহীন সমাজের। যে সমাজে থাকবে না
ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ। ঠিক এমন বাংলাদেশের স্বপ্নে শিক্ষার্থীরা রাজধানীজুড়ে রঙ-তুলিতে নতুন
কিছু ফুটিয়ে তুলছেন। যেখানে স্থান পাচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহিদ শিক্ষার্থীদের ছবি,
আন্দোলনে ব্যবহৃত বিভিন্ন স্লোগান, সরকার পতনের পর ছাত্র-জনতার উল্লাসের ছবি। কয়েকদিন
আগেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তার পাশের দেয়ালের দিকে তাকানো যেত না। রাজনৈতিক
দলের নেতাকর্মীদের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী পোস্টারে ছেয়ে ছিল। এখন দেয়াল জুড়ে
নান্দনিকতা। দেয়ালের সব নোংরা পরিষ্কার করে রংতুলির ছোঁয়ায় নান্দনিকভাবে সাজাচ্ছেন
শিক্ষার্থীরা। দল বেঁধে শিক্ষার্থীরা দেয়ালে দেয়ালে তুলে ধরছেন আন্দোলনের নানা স্মৃতিপট, নতুন
বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়, অসাম্প্রদায়িক চেনতার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা। ছাত্র জনতার
আন্দোলনকে ঘিরে রক্তাক্ত জুলাইকে গ্রাফিতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রাফিতিতে কি নাই
সেটি খুঁজতে খাতা কলম নিয়ে বসতে হবে। দ্রোহ দেশপ্রেম স্বপ্ন আবেগ আর দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি
গ্রাফিতি নগরবাসীর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। দেশকে ভালোবেসে আগলে রাখি’, ‘তুমি কে আমি কে,
বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট’, ‘আমার বিচার তুমি কর,
তোমার বিচার করবে কে’, ‘চাঁদা দিলেও মাইর, নিলেও মাইর’, ‘আইন মানে না যে, দেশদ্রোহী
সে’—বিকল্পকে? আমি তুমি আমারা এমন নানান প্রতিবাদী উক্তি শোভা পাচ্ছে শহরের বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে।

আরও পড়ুনঃ   কমিউনিটি ক্লিনিকঃ বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দোরগোড়ায়

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নানান স্লোগান, আন্দোলনের নানান চিত্র, রাষ্ট্র সংস্কারের
গ্রাফিতি, অসাম্প্রদায়িক বাংলার নানান দৃশ্য এখন ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে
দেয়ালে। ঢাবির সড়কে চোখ মেললেই নতুন বাংলাদেশের প্রতিবাদ কাব্য। গ্রাফিতিতে নতুন বাংলাদেশের
গল্প ফুটে উঠছে যে গল্পে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। স্বাধীন ও
রঙিন দেশ বাংলাদেশ। সেই রং ফিরিয়ে দিতেই গ্রাফিতি করা হচ্ছে। সহপাঠীদের ত্যাগ যেনো ভূলুণ্ঠিত
না হয় সেজন্যই স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টা। সমপ্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্র ছাত্রীদের
আকা দেয়াল শিল্প পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন
উপদেষ্টা। পত্রিকান্তরে জানা গেছে এ সমস্ত গ্রাফিতি ও বিপ্লবী কথামালা মন কেড়েছে তাদের।
বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী মিডিয়া বাংলাদেশের গ্রাফিতি ও কথামালা নিয়ে ফটোস্টোরি করেছে।
পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণ করে সৌন্দর্য বাড়াতে দেয়ালে দেয়ালে লিখন এখনও চলছে। এই
দেয়াল লিখন কিংবা রঙ তুলিতে আঁকা চিত্রগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। একদম কাঁচা
হাতে আঁকা ও লেখা। কোনো বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে ভাড়া করা দক্ষ কোনো শিল্পী তারা নন। তাদের
পরিচয় তারা নতুন বাংলাদেশের আলোকধারা-তারা শিক্ষার্থী। প্রাণের গহীন তল থেকে উঠে আসা
ভালবাসা আর আবেগ আছে তাদের আঁকি বুকি আর লেখায়। কচি হাতের ছোয়া যেন অন্যরকম
সৌন্দর্যে মন্ডিত করেছে দেয়াল থেকে দেয়ালে। ছাত্র সমাজের রঙ তুলির আঁচড়ে বদলে গেছে ঢাকাসহ
দেশের বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ দেয়াল। দেশের স্থানীয় অধিবাসীদের সংস্কৃতি, আন্দোলন,
অধিকার তুলে ধরার পাশাপাশি সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিভিন্ন দিক তুলির রঙে তুলে
ধরছে ছাত্রসমাজ। শিক্ষার্থীদের রং তুলি আঁচড়ে দেয়ালগুলোতে যেন ফুটে উঠতে শুরু করেছে বর্তমান
প্রজন্মের মেধা ও বুদ্ধিদীপ্ত চেতনা। দেশপ্রেম ও দায়িত্বের জায়গা থেকে এইকাজে অংশ নিচ্ছেন
ছোট বড়ো সকল বয়সি শিক্ষার্থী। সাথে অভিভাবকদের স্বত স্ফূর্তভাবে অংশ নিতে দেখা গেছে।
তরুণদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণ। এই দেয়াল চিত্রের
মাধ্যমে দেশকে এবং দেশের সম্ভাবনাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। মেট্রোরেল
স্টেশনের দেয়াল ও পিলারে পিলারে শিল্পকর্মের ছোঁয়া লেগেছে। প্রতিটি পিলার যেন এক একটি
জীবন্ত শিল্প। যাতে লিখা হয়েছে দেশ সংস্কারের নানা স্লোগানও। শুধু মেট্রোরেলের পিলার নয়, রোড
ডিভাইডারেও শিক্ষার্থীরা আঁকছেন দেশ সংস্কারের এমন সব গ্রাফিতি। বিভিন্ন স্লোগান লিখে তারা
এসব শিল্পকর্ম আঁকছেন – যা চলতি পথে যাত্রীদের/পথিকদের ‍দিচ্ছে স্নিগ্ধতা ও সচেতনতার
শৈল্পিক বার্তা।
বাচনিক যোগাযোগের চেয়ে এই অবাচনিক যোগাযোগের মাধ্যম গ্রাফিতির শক্তি কিন্তু ঢের
বেশি। জুলাই বিপ্লব ও বিপ্লব পরবর্তী সময়ে দেয়ালের গ্রাফিতি ও কথামালাগুলো মানুষের চিন্তার
জগতে বড়ো প্রভাব রেখেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশংসনীয় গ্রাফিতি ও কথামালা এখন
ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। এর সংরক্ষণ করা অতীব জরুরি।
#
লেখক: মো: কামাল হোসেন,সিনিয়র তথ্য অফিসার,তথ্য অধিদফতর।

আরও পড়ুনঃ   নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব - ২০২৫

পিআইডি ফিচার