জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ওমর আবদুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ। আজ বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এদিকে, ওমর আবদুল্লাহ তাঁর মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সুরেন্দ্র চৌধুরীকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীদের শপথ পড়ান। ওমর আবদুল্লাহ এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হলেন। এর আগে তাঁর বাবা ফারুক আবদুল্লাহ এবং দাদা শেখ আবদুল্লাহও জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ক্ষমতাসীন বিজেপিবিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে; সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব; বাম নেতা প্রকাশ কারাত ও ডি রাজা; ডিএমকের কানিমোঝি এবং এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।

আরও পড়ুনঃ   মিয়ানমারে বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ২২৬

এদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটসঙ্গী হলেও জম্ম-কাশ্মীরের নতুন মন্ত্রিসভায় পদ নিচ্ছে না কংগ্রেস। কারণ হিসেবে দলটি বলেছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির রাজ্য মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা হয়নি বলে তারা বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সুখী নয়। এক বিবৃতিতে, জম্মু-কাশ্মীর প্রাদেশিক কংগ্রেসের তারিক হামিদ কারা বলেছেন, কংগ্রেস জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যের মর্যাদা পুনর্বহালের জন্য কেন্দ্রের কাছে জোরালোভাবে দাবি করেছে।

আরও পড়ুনঃ   সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন

এর আগে, ৮ অক্টোবর প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে—জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের জোট পায় ৪৯টি। এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স পায় ৪২টি, কংগ্রেস পায় ৬টি, কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্স) পায় একটি আসন। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পায় ২৯টি আসন। বাকি আসনগুলো অন্যান্য দল পায়।

এদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও ভোটের সংখ্যায় বিজেপি এগিয়ে। দলটি মোট ভোট পায় প্রায় ২৭ শতাংশ। বিপরীতে ন্যাশনাল কনফারেন্স পেয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ শতাংশ। ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটসঙ্গী কংগ্রেস পেয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ ভোট।