কাশ্মিরে রাষ্ট্রপতির শাসন প্রত্যাহার, নতুন সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত

অনলাইন ডেস্ক : ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরে রাষ্ট্রপতির শাসন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে একটি নতুন সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত হলো।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মূলত দীর্ঘ ১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মিরে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর কয়েকদিন আগে সেই নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয় এবং এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে উপত্যকায় রাষ্ট্রপতির শাসন প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গেজেট নির্দেশিকা জারি করে জম্মু-কাশ্মিরে রাষ্ট্রপতির শাসন অবসানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অবিলম্বে এই শাসন শেষ হবে। ভারতীয় প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর করা গেজেট নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের আগে রাষ্ট্রপতির শাসনের অবসান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ   কমলা হ্যারিস ‘উগ্র বামপন্থী পাগল’: ট্রাম্প

জম্মু-কাশ্মিরের এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট। আর এতে করে জম্মু-কাশ্মিরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ওমর আবদুল্লাহ। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ ২০০৯ সাল থেকে দলের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।

২০০৯ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মিরের তরুণতম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ওমর আবদুল্লাহ। পরবর্তীতে তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন দীর্ঘদিন।

আরও পড়ুনঃ   সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে হিজবুল্লাহ

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়। ওই বছরই ৩১ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মিরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়।

পরে জম্মু-কাশ্মিরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে (জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখে) ঘোষণা করা হয়।

তবে তার আগেই ২০১৭ সালের জুন মাসে যখন বিজেপি পিডিপি সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন মেহবুবা মুফতি, সেই সময় থেকেই কার্যত রাষ্ট্রপতির শাসন জারি ছিল জম্মু-কাশ্মিরে।