মায়ের লাশ দেখতে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মেয়েসহ ২ জনের

বগুড়া প্রতিনিধি : মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে শেষবারের মতো দেখতে স্বামী ও চাচাতো বোনসহ মোটরসাইকেল চেপে ঢাকা থেকে গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন এক তরুণী । পথেই ট্রাক চাপায় প্রাণ হারান ওই নারী ও তাঁর চাচাতো বোন। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার গ্যাস পাম্পের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী গ্রামের নজরুল ইসলামে মেয়ে নূপুর আক্তার (২২) একই এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে রুনা আক্তার (১৮)। নূপুর ও রুনা সম্পর্কে চাচাতো বোন। দুর্ঘটনায় আহত হন মোটরসাইকেল চালক ও নিহত নূপুরের স্বামী রাকিবুল ইসলাম। তাঁরা তিনজনই গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।

আরও পড়ুনঃ   চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ

শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শনিবার রাতে নূপুর আক্তারের মা মারা যান। খবর পেয়ে ভোরে মোটরসাইকেল নিয়ে নূপুর আক্তার, তাঁর স্বামী রাকিবুল ইসলাম ও চাচাতো বোন রুনা আক্তার ঢাকা থেকে রওনা হন। সকাল ৮টার দিকে তারা বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের অমেরা গ্যাস পাম্পের সামনে এলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ওপর পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক তাদের চাপায় দেয়।

আরও পড়ুনঃ   ‌‘জাতীয় পার্টি বাজপাখি, যাকে একবার ধরি আর ছাড় দেই না’

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই নূপুর আক্তার ও রুনা আক্তার মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গুরুতর আহত চালক রাকিবুল ইসলামকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় এবং নিহত দুজনের লাশ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করে।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম জানান, ‘চালক ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’