মহাঅষ্টমী আজ, হবে কুমারী পূজা

স্টাফ রিপোর্টার : মণ্ডপে মণ্ডপে বাজছে ঢাক আর কাঁসর। বাজছে ধর্মীয় সংগীতও। ফুল, ধূপ, আগর, প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বলছে। বাহারি আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল দেবী দুর্গা। সব বয়সী মানুষ আসছেন প্রতিমা দেখতে। করছেন প্রণাম। কেউ কেউ আবার তুলছেন দেবী মায়ের সঙ্গে ছবি।
রাজশাহী নগরীর পূজামণ্ডপগুলোতে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সপ্তমীর দিনে ছিল এমন চিত্র। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) অষ্টমী। এদিন হবে কুমারী ও সন্ধিপূজা।

নগরীর পূজামণ্ডপগুলো উৎসবমুখর দেখা যায়। নববস্ত্র, ফুল-ফল, দ্বীপ-ধূপে দেবীর পূজার পর অনেক মণ্ডপে দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রসাদ নেন শত, শত, ভক্ত নরনারী। শাস্ত্র অনুযায়ী, মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে দেবী দুর্গা পূজিত হয়েছেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যারতি এবং দেবী দর্শনের জন্য মণ্ডপগুলোতে ভিড় আরও বাড়তে শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ   রাকাব পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত

রোববার মহাষ্টমীতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিকে নগরীর ত্রিনয়নী সংঘে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ত্রিনয়নী সংঘের সাধারণ সম্পাদক অভি কুমার দাম বলেন, ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস-এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হবে পুষ্পমাল্য। কুমারী পূজা শেষে ভক্তরা মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।

আরও পড়ুনঃ   তাপদাহের মাঝে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

১৯০১ সালে ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার মাধ্যমে এর প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা চলে আসছে। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এ ছাড়া নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে। শাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা করা হয়।