দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুরে হত্যাচেষ্টা ও নাশকতা এবং চেক জালিয়াতির মামলায় আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পৃথক সময়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—উপজেলা সৈনিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ মৃধা, কিশমত গনকৈড় ইউনিয়নের আড়ইল ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জেকের আলী (৪২), সাধারণ সম্পাদক সাজাহান আলী (৪০), আড়ইল ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি টুটুল হোসেন (৩২)।
চেক জালিয়াতি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন—জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার (৩৫) ও ভবানীপাড়া গ্রামের ফেরদৌসী খানম হাসি (৩৮)।
পুলিশ জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টা ও নাশকতা চালানোর অভিযোগে থানায় মামলাটি করেন উপজেলার চক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগের দিন অর্থাৎ গত ৪ আগস্ট রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা মেডিকেল মোড়ে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগিতাকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক নাশকতা চালায়।
এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. মনসুর রহমানসহ ৭০ জনের নাম উল্লেখ করা রয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) দুরুল হুদা বলেন, বুধবার দুপুরে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।