রাসিকের সাবেক কাউন্সিলরের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১ নম্বর ওয়ার্ডের তিন বারের সাবেক কাউন্সিলর মনসুর রহমানের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী কোর্ট এলাকায় এ সমাবেশ করেন মনসুর রহমানসহ তার সঙ্গে কারাগারে থাকা অন্য আসামিদের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এ.কে.এম রবিউল করিম, ইমাম জাকীর হেসেন, অ্যাডভোকেট রকি, ১ নম্বর ওয়ার্ডেও বাসিন্দা মাসুম, সাদ্দাম, মোজাহার হোসেন, সম্্রাট, সুমন, মোহন, জনি, সেলিম, রানা, মনোয়ারা খাতুন, তানিয়া কাতুন, নুরুল ইসলাম নুর, সাবেক কাউন্সলর মুনসুরের ছেলে রাফি, আব্দুল ওয়াদুদ বাবলু, শাহেবজাদা, শামীম রেজা, বদরুদ্দোজা বদর, মাহুফুজ আলম, আলিম রেজা, রংলাল, হাসান আলী, বখতিয়ার রানা, হিরা, জোসনা, কোরবান আলী, মঞ্জু, সাইফুল ও জহুরুল।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার সহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার ২৮

বক্তারা বলেন, তিনবারের জনপ্রিয় সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ২০১৩ সালে একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালত শাহেন শাহ হত্যার সেই মিথ্যায় মামলায় ফরমায়েশি রায়ে মনসুর রহমানসহ মোট ৯ জনকে ফাঁসি ও এক লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে একই ধারায় ২২জনকে যাবজ্জীবন এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে জরিমানা করেন রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক। সম্পূর্ন বে-আইনী ভাবে আসামীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে বক্তরা উল্লেখ করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে বিএনপি নেতা মনসুর রহমানসহ অন্যদের আসামি করা হয়। মিথ্যা মামলায় তাদের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা রজব আলী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলায় আসামি করে সবাইকে ফাঁসিয়েছেন। তাই তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ   বাঘায় বিএনপি নেতার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট সাবেক কাউন্সিলর রজব আলীর ভাই ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাহেন শাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর। রায়ে তৎকালীন কাউন্সিলর মনসুর রহমানসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া আরও ২২ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।