নববধূকে বাড়িতে এনেই পিটিয়ে হত্যা করলেন বর

অনলাইন ডেস্ক : টিভিএস অ্যাপাচি মোটরসাইকেল এবং তিন লাখ রুপির যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় এক নববধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বর। ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমরোহা এলাকায় মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আমরোহা এলাকায় এক নববধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। যৌতুক হিসেবে একটি টিভিএস অ্যাপাচি মোটরসাইকেল ও তিন লাখ রুপি না দেওয়ায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, দুই বছর আগে আমরোহার বাসিন্দা মীনা নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন বাইখেদা গ্রামের তরুণ সুন্দর। তখন থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের প্রতি যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন তিনি। এ নিয়ে আগেও কয়েকবার নববধূকে মারধর করেন স্বামী।

আরও পড়ুনঃ   মুক্তির পরপরই আকাশছোঁয়া দামে ট্রাম্পের মিম কয়েন

বিয়ের পর থেকেই সোহারকায় বাবার বাড়িতে থাকতেন নববধূ মীনা। নববধূর পরিবারের একজন সদস্য বলেন, সুন্দর প্রত্যেক দিন তার শ্বশুর বাড়িতে আসতেন এবং সেখানে খাবার খেতেন। রোববার রাতেও শ্বশুর বাড়িতে যান সুন্দর এবং নববধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।

বাড়িতে আনার পরপরই নববধূর সাথে যৌতুক নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন সুন্দর। এক পর্যায়ে নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুনঃ   ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া না দিলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে না আদানি

পরে স্থানীয় বাসিন্দারা টেলিফোনে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশকে জানান। এ সময় ওই নববধূর পরিবারের সদস্যরা থানায় হাজির হয়ে সুন্দরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

নববধূর বাবা বিজয় খাদক বানসি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুন্দর, তার মা, বোন এবং অন্য চারজনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। আমরোহা পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, নববধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি হত্যা মামলা নিয়েছে।

পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।