জর্ডানের নতুন প্রধানমন্ত্রী জাফর হাসান

অনলাইন ডেস্ক : নিজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা জাফর হাসানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ। রোববার তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাজকীয় আদালত।

সরকার ও মন্ত্রিসভার মেয়াদ পূর্ণ করে গতকাল রোববার বাদশাহর কাছে অব্যাহতিপত্র জমা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিশের খাসাউনে। তিনি চিঠি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাফর হাসানকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন বাদশাহ আবদুল্লাহ।

অব্যাহতিপত্র জমা দিলেও অবশ্য এখনই সরকারি দায়িত্ব পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না খাসাউনে। জর্ডানের সংবিধান অনুসারে, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের আগ পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন তিনি।

ভৌগলিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের দেশ জর্ডানে পার্লামেন্টারি সরকার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে ১৯২৯ সাল থেকে। তবে জর্ডানের সংবিধান অনুসারে বেশিরভাগ ক্ষমতা বাদশাহের হাতে রয়েছে। তিনি সরকারপ্রধান নিয়োগ এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সরকারি যে কোনা ইস্যুতে সিদ্ধান্তের ব্যপারে বাদশাহর মতামতকেই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হয়।

আরও পড়ুনঃ   পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা-তাণ্ডবে নিহত আরও ২১

জর্ডানের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নাম হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষের নাম সিনেট। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভিসের মোট আসনসংখ্যা ১৯৫টি এবং এই কক্ষের সদস্যরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। সিনেট সদস্যদের নিয়োগ দেন বাদশাহ।

সংবিধান অনুযায়ী দেশটির পার্লামেন্টের মেয়াদ ৪ বছর। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার নির্বাচনে হয়েছে জর্ডানে; সেই দিনই ঘোষণা করা হয়েছে ফলাফল। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে রোববার বাদশাহ বরাবর অব্যাহতিপত্র জমা দেন বিশের খাসাউনে।

আরও পড়ুনঃ   বাড়ছে সহিংসতা, মণিপুরের ৩ জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি

নতুন প্রধানমন্ত্রী জাফর হাসান যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। এতদিন তিনি টেকনোক্র্যাট মর্যাদায় বাদশাহ আবদুল্লাহর উপদেষ্টা ছিলেন। দেশে তার গ্রহণযোগ্যতাও ভালো।

তবে এমন এক সময়ে তিনি দেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন জর্ডান কঠিন সময় পার করছে। গাজা উপত্যকার অভিযান এবং পশ্চিম তীরে নিয়মিত ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাতের প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতির ওপর। গত বছর অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত পর্যটনে রীতিমতো ধস নেমেছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে জর্ডানে প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ২ শতাংশ। দেশটির ইতিহাসে বাৎসরিক নিম্নপ্রবৃদ্ধির অন্যতম নজির এটি।