ট্রাম্পের ওপর হামলাকে হত্যাচেষ্টা বলছে এফবিআই

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচ এলাকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজ মালিকানাধীন মাঠে গলফ খেলার সময় পাশেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত হননি, নিরাপদে সরে যান ট্রাম্প। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) ধারণা করছে, এর মাধ্যমে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার বেলা দেড়টার দিকে ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির পর অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, গলফ মাঠে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। একে–৪৭ ঘরানার ওই অস্ত্রটিও জব্দ করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

আরও পড়ুনঃ   ত্রিপুরার বাঁধ খুলে দেওয়ার পর বাংলাদেশে হু হু করে ঢুকছে পানি

সংবাদ সম্মেলন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, গলফ মাঠের কাছে ঝোপঝাড়ের মধ্যে ছিলেন ওই বন্দুকধারী। ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঝোপের ভেতরে তাঁর বন্দুকের নল দেখতে পান। এরপর তাঁরা অন্তত চারটি গুলি চালান। তখন ওই ব্যক্তি বন্দুক ফেলে গাড়িতে করে পালিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শী একজন ওই বন্দুকধারীর গাড়ি ও লাইসেন্স প্লেটের ছবি তুলে রাখেন। এরপর অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার কাছে ওই গাড়ির তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে তথ্যের ভিত্তিতে পাশের মার্টিন এলাকায় গাড়িটি থামানো হয় এবং বন্দুকধারীকে আটক করা হয়।

অপরদিকে এক বিবৃতিতে এফবিআই বলেছে, ‘ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় গুলির ঘটনায় সাড়া দিয়েছে এফবিআই। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় মনে হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ   প্রেমিককেও সংসারে রাখতে স্বামীর কাছে আবদার স্ত্রীর, অবশেষে

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্প। এর আগে গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল। সে সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। গুলিতে কানে আঘাত পেয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই ঘটনার পর সিক্রেট সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে বড় সমালোচনা দেখা দিয়েছিল। এর জেরে পদত্যাগ করতে হয়েছিল বাহিনীর প্রধানকে। এ ছাড়া অন্তত পাঁচজন সদস্যকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল।

এদিকে গুলির ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) নিরাপদে আছেন জেনে আমি খুশি। আমেরিকায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’