নতুন প্রেমিক খুঁজে পেলেন জেনিফার

অনলাইন ডেস্ক : বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেতা ম্যাট ডেমনের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সময় কাটাচ্ছেন জেনিফার লোপেজ এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দুজনের ঘনিষ্ঠতা তা আরও স্পষ্ট করেছে।

টরন্টোতে দেখানো হলো ‘আনস্টপেবল’। উইলিয়াম গোল্ডেনবার্গ পরিচালিত এই ছবির অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ এবং প্রযোজক বেন অ্যাফ্লেক। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই স্পোর্টস ড্রামার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে অভিনেত্রী উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না লোপেজের প্রাক্তন। বিচ্ছেদের পর এটি জেনিফার লোপেজের প্রথম রেড কার্পেটে উপস্থিতি। তাকে এদিন মেটালিক সিলভার গাউনে দেখা গেছে।

গেল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ‘আনস্টপেবল’-এর প্রিমিয়ারের গ্রুপ ছবিতে একসঙ্গে পোজ দেন জেনিফার ও ম্যাট ডেমন। এরপর দুজনকে খুব কাছাকাছি দেখা যায়। প্রিমিয়ারের পরবর্তী আফটার পার্টিতেও ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে দুজনের একান্ত আড্ডার খবর নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পিপল।
এই পার্টিতে অংশ নেওয়া একজন পিপলকে জানিয়েছে, পার্টিতে ড্যামনের স্ত্রী লুসিয়ানা ড্যামন ও সহ-অভিনেতা ডন চিডলের সঙ্গে একই টেবিলে বসেছিলেন জেনিফার লোপেজ। এরপর সেই আড্ডায় তাদের সঙ্গে যোগ দেন ম্যাট ড্যামন। পুরো সময় জেনিফার লোপেজ ও ম্যাট ড্যামন কথোপকথনে মগ্ন ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ   ‘দরদ’ মুক্তিতে রইল না আর বাধা

মার্কিন রেসলার অ্যান্টনি রোবলেসের জীবনের ওপর নির্মিত হয়েছে ‘আনস্টপেবল’। এতে অ্যান্টনি রোবলেসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মার্কিন অভিনেতা জারেল জেরোম। আর জেনিফারকে দেখা গেছে জুডি রোবলেসের চরিত্রে। ‘আনস্টপেবল’-এর গল্প লিখেছেন এরিক চ্যাম্পনেলা, অ্যালেক্স হ্যারিস ও জন হিন্ডম্যান। এ বছরের ডিসেম্বরে এটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

ভক্তদের মতে, অনেকটা রূপকথার মতোই ছিল জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের সম্পর্ক। তারা প্রথম কাছাকাছি আসেন ২০০২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। নভেম্বরে বাগদানও সারেন তারা।

আরও পড়ুনঃ   আসছে ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫

দুটি সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয়ও করেন তারা। ২০০৩ সালে মুক্তি পায় ‘গিগলি’, পরের বছর আসে ‘জার্সি গার্ল’। এরপর আচমকা ছন্দপতন। বাগদান বাতিল করেন বেন ও জেনিফার। আলাদা হয়ে যায় দুজনের দুটি পথ। প্রায় দুই দশক পর সম্পর্ক জোড়া লাগে জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের। ২০২২ সালে বাগদান সারেন দুজন। তারপর লাস ভেগাসে বিয়ে। তবে দুই বছরও একত্রে শান্তিতে কাটল না। অল্প সময়েই দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। একটা সময়ের পর ক্যামেরার সামনে আর একসঙ্গে পোজ দিতেন না তারা। শেষ পর্যন্ত টিকল না সংসার।