বের করা হবে ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত চিত্র

অনলাইন ডেস্ক : ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই টাস্কফোর্স আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন সংস্কার, ব্যাংক খাতের সম্পদ, ঋণ, ঝুঁকি ও প্রকৃত আর্থিক অবস্থা নির্ণয় করবে। পাশাপাশি এ খাতের সংস্কার ও যুগোপযোগী করার প্রস্তাব এবং ব্যাংকিং খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশের পদক্ষেপ নেবে। টাস্কফোর্সের সার্বিক সমন্বয় করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী, ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহরিয়ার এম হাসান, বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান এবং হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং পার্টনার সাব্বির আহমেদ।

আরও পড়ুনঃ   সবার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, দেশটাকে গড়তে হবে : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এ টাস্কফোর্স প্রধানত আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, মন্দ সম্পদ এবং প্রধান প্রধান ঝুঁকিসমূহ নিরূপণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক পর্যালোচনা, ঋণের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ, প্রভিশন ঘাটতি নিরূপণ, তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নিট মূলধন নির্ণয়, সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মন্দ সম্পদকে পৃথক করা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এছাড়া, টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সংকটকালীন প্রতিঘাত সক্ষমতা অর্জনে ব্যাংকের সুশাসন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়ন, ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক এবং কর্পোরেট প্রভাব সীমিতকরণ, ব্যাংকের মালিকানা সংস্কারসহ ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রদান, প্রবলেম ব্যাংকের জন্য রিকভারি এবং রেজুলেশন ফ্রেমওয়ার্ক ও সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন প্রস্তুতকরণ, দুর্বল ব্যাংকসমূহের জন্য বিভিন্ন নীতিগত ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আরও পড়ুনঃ   বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৭৫৮

টাস্কফোর্স আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন যেমন- ব্যাংক কোম্পানি আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ইত্যাদি সংস্কার এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ব্যাংক অধিগ্রহণ, একীভূতকরণ আইন প্রণয়ন, সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব প্রদান করবে এবং ব্যাংকিং খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এর আগে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে টাস্কফোর্স তাদের কাজ শুরু করবে।

তিনি বলেন, টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ব্যাংক খাতের সমস্যা নিরূপণ এবং আগের নীতিমালাগুলো রিভিউ করা হবে। যদি দেখা যায় যে, কোনো নীতিমালা শুধু গুটিকয়েক ব্যবসায়ের জন্য করা হয়েছে তাহলে সেটা বাতিল করা হবে। আর যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা থাকবে। ব্যাংক খাতের পরিবারতন্ত্র ভাঙা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।