বন্যাকবলিত এলাকার ৯৯ শতাংশ মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল

অনলাইন ডেস্ক: ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যায় ডুবেছিল দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১৫টির বেশি জেলা। এর ফলে একদিকে যেমন তৈরি হয় মানবিক বিপর্যয় অপরদিকে টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রেও পড়ে বিরূপ প্রভাব।

মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারের গ্রিনফিল্ড ও নিচের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পানিতে ডুবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় দুই হাজারের বেশি সাইট। কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি বলেই ক্ষতির পরিমাণ ছিল বেশি।

তবে এখন পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় ফের সচল হতে শুরু করেছে এসব অচল মোবাইল টাওয়ার। বর্তমানে কবলিত এলাকার প্রায় ৯৯ শতাংশ টাওয়ারই সচল করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   আগাম সতর্ক না করে বাঁধ খুলে দেওয়া অমানবিক: নাহিদ ইসলাম

শনিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, এখন বন্যা কবলিত ১১টি জেলায় ২৫৪টি টাওয়ার সাইট অচল হয়ে আছে। যার শতকরা পরিমাণ ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

এরমধ্যে নোয়াখালী জেলায় ৪৩টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ১১টি, ফেনী জেলায় ৭২টি, কুমিল্লা জেলায় ৯টি, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলায় ২৪টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১৮টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪টি, হবিগঞ্জ জেলায় ১৫টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৮টি, সিলেট জেলায় ৩২টি ও কক্সবাজার জেলায় ৮টি মোট ২৫৪টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে। এর বিপরীতে এই ১১টি জেলার মোট টাওয়ার রয়েছে ১৪ হাজার ৫৫১টি। যারমধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৪ হাজার ২৯৭টি। অর্থাৎ অচল টাওয়ারের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

আরও পড়ুনঃ   পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত

অপরদিকে এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি টাওয়ার অচল হয়ে পড়ে গত ২২ আগস্ট। ওইদিন ১২টি জেলায় বন্যার পানিতে অচল হয়ে যায় ৫টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রায় ২ হাজার ২৫টি সাইট।