প্রশাসক হিসেবে নগদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক: ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা (এমএফএস) দেওয়া কোম্পানি নগদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার প্রশাসক হিসেবে এই কোম্পানির দায়িত্ব বুঝে নেন।

আজ সকালে প্রশাসকের দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার সময় ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক আবু তালেব উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আনোয়ার উল্লাহ, পলাশ মন্ডল, আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপপরিচালক চয়ন বিশ্বাস ও আইয়ুব খান সহায়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। নগদের কর্মকর্তারা কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করছেন।

প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাতিল হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক নিরীক্ষা করবে। এ কাজ শেষ করতে সময় প্রয়োজন হবে। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক সেবা চলমান থাকবে। নিরীক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠানটির ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

আরও পড়ুনঃ   যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেনি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) বিকাশের পরই এখন নগদের অবস্থান। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নানা প্রক্রিয়া যথাযথভাবে মেনে চলেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। ডাক বিভাগের সেবা বলা হলেও আদতে এতে সরকারের অংশীদারত্ব নেই। নগদের মালিকানায় বিভিন্ন সময়ে যুক্ত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ত্রী রেজওয়ানা নূর, সাবেক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় মোবাইলে আর্থিক সেবা পরিচালনার জন্য থার্ড ওয়েভকে কাজ দেয়।

আরও পড়ুনঃ   কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরে, অন্যথায় জুনের মধ্যে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

২০১৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগদের উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এর মালিকানায় যুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। যথাযথ গ্রাহকতথ্য যাচাই (কেওয়াইসি) ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল গ্রাহকদের নিজস্ব গ্রাহক বানিয়ে ফেলার সুযোগ পায়। সরকারের সব ভাতা বিতরণেরও একচ্ছত্র সুবিধা পায় প্রতিষ্ঠানটি। এর সরকারি ভাতা পেতে নগদের গ্রাহক হওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।

এ ধরনের নানা অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এই প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।