‘রাসিকের সম্পদ ফেরত দিলে ধন্যবাদ, না দিলে মামলা’

স্টাফ রিপোর্টার: ‘রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) কোনো দল ও ব্যক্তির সম্পদ না। এটা রাষ্ট্রের সম্পদ। যদি এখনো কারও কাছে রাসিকের কোনো সম্পদ থেকে থাকে তাহলে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দিয়ে দিলে আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাব। যদি না দেয় তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। এছাড়া বিষয়গুলো নিয়ে থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সেটি পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এসব কথা বলেন। এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) তিনি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কতগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। যেগুলো না করলেই নয়। সেই তালিকার মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্যতম। যেহেতু আমাদের কোনো গাড়ি (বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যানবাহন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ চালু রয়েছে। জন্ম, মৃত্যু নিবন্ধন চালু আছে। কিন্তু এটি আগে ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা অনুমোদন করতেন। তবে এখন সেটি প্রাশানসিক কর্মকর্তারা করবেন।

আরও পড়ুনঃ   চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম বনির মাতা মৃত্যুতে রাসিক মেয়রের শোক

তিনি আরও বলেন, আমাদের ৬০ থেকে ৭০টি কম্পিউটার নিয়ে গেছে। এর মধ্যে ৩০টির কাছাকাছি পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে সচল হচ্ছে নাকি। সকালে আমাদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেগুলো নাগরিক সেবা কেন্দ্রিক কাজ, সেগুলো দ্রুত আজকের মধ্যে চালু হয়েছে। আর যেগুলো চালু হয়নি সেগুলো আজকের মধ্যে চালু হবে। সিটি কর্পোরেশনের সকল কাজ চালু রয়েছে। নাগরিকরা সেবা পাবেন।

ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ক্ষয়ক্ষতি কি হয়েছে সেটা যাচাই করতে হবে। এটা মেরামতের জন্য দিতে হবে। তখন তো একটা হিসেবের প্রশ্ন আসবে। এজন্য আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি। সেখানে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, ইলেট্রিক্যাল, সিভিল ও ফায়ার সার্ভিসের লোক রয়েছে। এখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, টাকার অঙ্কে সম্ভব্য ক্ষতি হয়েছে কত, এছাড়া এখান থেকে উত্তরণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।

আরও পড়ুনঃ   তদবির করলে নাম উঠবে তালিকায়

তিনি আরও বলেন, আমাদের কার্যক্রম চালুর জন্য জনবল লাগবে। রাসিকে স্থায়ী ও অস্থায়ী জনবল আছে। এর মধ্যে স্থায়ী জনবল আছে ৩৫৩ জন। তাদরে বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা নেব। আর অস্থীয় জনবল আছে ২ হাজার ৬৫৯ জন। এদের জন্য সিটি কর্পোরেশনের সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা বিতর্কিত তাদের আমরা রাখব না। যারা সিটি কর্পোরেশনকে নষ্ট করেছে। ভবিষ্যতে নষ্ট করতে পারে তাদেরও আমরা রাখব না।

প্রকল্পের বিষয়ে দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবী বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে চারটি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে একটি শেষ হয়েছে। বাকিগুলো চলমান রয়েছে। যথেষ্ঠ বরাদ্দ আছে। কাজ যাতে অসমাপ্ত না থাকে।

এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনসহ রাসিকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।